সরকারি ছুটি নয়। তা সত্ত্বেও দিনভর তালাবন্ধ কর্মসংস্থান কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাটোয়ার ভূতনাথতলায় বন্ধ ওই দফতরের সামনে যখন কর্মপ্রার্থীরা অপেক্ষা করছেন, সেই সময়ে কল্যাণীতে নিজের বাড়িতে বসে ওই দফতরের আধিকারিক কুমারেশ নন্দী দাবি করেন, দফতর খোলা রয়েছে। যদিও কাটোয়ার মহকুমাশাসক জানান, ওই দফতর খোলা ছিল না।
কাটোয়া শহরে দোল উৎসব ছিল বৃহস্পতিবার। তবে সরকারি অফিস খোলা ছিল। যানবাহন কম চললেও কর্মসংস্থান কেন্দ্রে কার্ড পুনর্নবীকরণ ও নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য বেশ কিছু তরুণ-তরুণী কাটোয়ায় এসেছিলেন। সকাল ১০টা নাগাদ পৌঁছে তাঁরা দেখেন, দফতর তালাবন্ধ। দিনভর সেই তালা আর খোলেনি।
দফতরে ৮-৯ জন কর্মী রয়েছেন। সরকারি ছুটি না থাকা সত্ত্বেও দফতর কেন খোলা হল না, তার সদুত্তর কারও কাছে মেলেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দফতরের এক কর্মীর বক্তব্য, “বছরের শেষ কাজের দিনের জন্য এ দিন রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন কার্ড তৈরি করা হবে না বলে জানানো হয়েছিল। কার্ড পুনর্নবীকরণ বা এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম তোলার কাজ হতো। কাটোয়ায় দোল ছিল। লোকজন আসবে না ভেবে আমরা যাইনি।” |
কেতুগ্রামের শম্ভুনাথ গড়াই, সুজিত কর্মকারেরা বলেন, “কাটোয়া শহরে দোল উৎসব উপলক্ষে এই দফতরে ভিড় কম হবে অনুমান করে এসেছিলাম। পৌঁছে দেখি, অফিসই বন্ধ।” মঙ্গলকোটের কাকুলিয়া গ্রামের নবকুমার গড়াইকে কার্ড পুনর্নবীকরণের জন্য বৃহস্পতিবার আসতে বলেছিলেন ওই কেন্দ্রের কর্মীরা। তাঁর কথায়, “আমি মঙ্গলবার এসেছিলাম। আমাকে বৃহস্পতিবার আসতে বলা হয়। এসে দেখি কেউ নেই। অফিস বন্ধ।” নানা কাজের জন্য ২০-২৫ জন ওই কেন্দ্রে এসেছিলেন এ দিন। ফিরে যাওয়ার সময়ে তাঁদের অনেকেই বললেন, “কাজের দিনে গোটা অফিসটাই বন্ধ। কর্মসংস্থান কেন্দ্রে এসে আমাদের মতো বেকারদের হয়রান হতে হল। অযথা কিছু টাকা খরচ হল। এর দায় কে নেবে?”
ওই সব কর্মপ্রার্থীরা মহকুমাশাসক আর অর্জুনের কাছে অভিযোগ করেন। এর পরে মহকুমাশাসক খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, দফতর বন্ধ ছিল। তিনি বলেন, “ওই দফতরের আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিকেলে কুমারেশবাবুকে ফোন করা হলে তিনি ‘রং নম্বর’ বলে ফোন কেটে দেন। পরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
কাটোয়ার কর্মসংস্থান কেন্দ্র। |