হোলির রঙের ছিটে লাগল শিল্পাঞ্চলে। আসানসোল, দুর্গাপুর দুই শিল্প শহরেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান হল বুধবার।
দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে এই প্রথম শান্তিনিকেতনের আঙ্গিকে বসন্ত উৎসব পালন করে ‘গীতাঞ্জলি’ নামে এক সংস্থা। ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী গোরা সর্বাধিকারি, মণিপুরি শিল্পী জিতেন সিংহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। যোগ দেয় শহরের কয়েকশো কচিকাঁচাও। রণজিৎ গুহ ও মধুমিতা গুহ বহু বছর ধরে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে আসছেন কুমারমঙ্গলম পার্কে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও ছিল সাহিত্য প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, খাওয়া দাওয়া।
অন্ডালের চিত্তরঞ্জন ইন্সটিটিউশনেও অন্ডাল থানা কমিটি এবং স্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ‘পদ্মগোখরো’ নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। আসানসোল গ্রাম বসন্ত উৎসব কমিটি আয়োজিত উৎসবে রামসায়র ময়দান থেকে একটি প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। ছিল ছৌ নাচ ও সংকীর্তন শিল্পীদের উপস্থাপনা ছিল। খোল বাদন ও সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় খুদে ও বড় শিল্পীরা। সঞ্চালনা করেন বৃষ্টি রায়। ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ও। আসানসোলের রূপনারায়ণপুরের কেওতজালি অঞ্চলে দামোদরের পাড়ে পলাশবনেও ছিল বসন্ত উৎসবের আসর। বার্নপুরের শান্তিনগর এলাকার সুন্দরেশ্বর মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে স্থানীয় বাসিন্দারা বসন্ত উৎসব পালন করেন। বৃহস্পতিবারও আসানসোল শিল্পাঞ্চলের একাধিক জায়গায় হোলি পালিত হয়। বিশেষ ভাবে, এলাকার হিন্দিভাষী মানুষেরাই উৎসবে মেতে ওঠেন এদিন। |