দোলের দুপুরে বাড়িতে হামলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
দোলের দুপুরে বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালাল কিছু সশস্ত্র দুষ্কৃতী। দুর্গাপুরের ভ্যামবে কলোনিতে এই ঘটনায় পাঁচ জন জখম হন। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকেরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, সিপিএমের প্ররোচনাতেই এমন ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভ্যামবে কলোনি এলাকায় এ দিন দুপুরে দোল খেলাকে কেন্দ্র করে বচসা বাধে। তখনকার মতো তা মিটেও যায়। কিন্তু বিকাল ৩টে নাগাদ ফের গোলমাল শুরু হয়। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ভ্যামবে কলোনির বাসিন্দা ঊমা বাউড়ি জানান, তিনি তখন রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময়ে ২৫-৩০ জন দুষ্কৃতী তরোয়াল, ভোজালি, পিস্তল নিয়ে ঢুকে তাঁর মেজো ছেলে নারু বাউড়ির খোঁজ করে। তাঁকে না পেয়ে স্বামী বাণেশ্বর বাউড়ি, বড় ছেলে সুভাষ বাউড়িকে মারধর করে। ছোট ছেলে ভৈরব বাউরিকে ভোজালির কোপ মারে। পুলিশ পৌঁছলে তারা পালিয়ে যায় বলে ঊমাদেবীর অভিযোগ। তাঁর আরও অভিযোগ, “যাওয়ার সময়ে ওই দুষ্কৃতীরা ঘড়ি, নগদ দু’হাজার টাকা, মেয়ের কানের দুল-সহ আরও কিছু জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে।” ভৈরব দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। পরে নারুকেও এলাকায় পেয়ে দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। |
দুর্গাপুর হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র। |
হামলার ঘটনায় জড়িতরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। তাদের দাবি, পরিবারটি সিপিএমের সমর্থক। সে জন্যই এই ধরনের হামলা চালানো হল। দলের জেমুয়া বিধাননগর লোকাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই ধরনের সন্ত্রাস চালিয়ে দুর্গাপুর শহর লাগোয়া গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে তৃণমূল।”
তৃণমূল অবশ্য পঙ্কজবাবুর বিরুদ্ধেই প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। স্থানীয় ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দীপঙ্কর লাহার বক্তব্য, “আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গিয়ে পঙ্কজবাবু এলাকায় অশান্তির সূত্রপাত ঘটান।” অভিযোগ অস্বীকার করে পঙ্কজবাবুর পাল্টা দাবি, “ঘটনার পরে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় তা দেখতেই এলাকায় গিয়েছিলাম।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঘটনার পরপরই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত চলছে। বাকিদেরও দ্রুত ধরে ফেলা হবে বলে পুলিশের আশ্বাস।
|