কয়েক দিন পরেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইপিএল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তাতে উপস্থিত থাকবেন বলিউড, টলিউডের তারকারা। আসার কথা চলছে হলিউডের কিছু তারকারও। থাকবেন নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট অতিথিরা। অথচ, সেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ঘুরে দেখা গেল, সেখানে যে ক’টি অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্র রয়েছে, তার প্রায় প্রতিটিরই মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে।
স্টেডিয়ামের মূল চত্বরেই রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর। মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢুকে করিডরের ডান দিকে ধরে এগোলেই দু’দিকে সার দিয়ে রয়েছে ঘরগুলি। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের অফিস থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের ঘর, কনফারেন্স রুম সবই সেখানে। ওই করিডরেরই দু’দিকের দেওয়ালে ঝোলানো অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্র। মন্ত্রীর ঘরের ঠিক পাশে যে যন্ত্রটি রয়েছে, তার গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখের জায়গায় লেখা আছে ২.১.২০১৩। খেলোয়াড়দের ঘরের পাশের অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্রের মেয়াদও ফুরিয়ে গিয়েছে ওই তারিখেই। মূল প্রবেশদ্বারের দু’দিকের করিডরের অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্রেরই এমন অবস্থা। |
এ দিকে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হয়ে গিয়েছে আইপিএল-এর প্রস্তুতি। মঙ্গলবার দুপুরে স্টেডিয়াম ঘুরে দেখা গেল, জোরকদমে চলছে স্টেজ তৈরির কাজ। খেলোয়াড়দের ঘরেও চলছে মেরামতি। দেখা গেল, উদ্বোধনের দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়ার ঝলকও। তবে এত কিছুর মধ্যে অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্রগুলির রিফিলিং কবে হবে, তার উত্তর দিতে পারলেন না কেউ।
এই অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্রগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে কার্যকারিতা ধীরে ধীরে হারাতে থাকে বলে জানালেন দমকলের এডিজি গোপাল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ওই অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্রগুলি মেয়াদের সময়সীমার মধ্যেই সব চেয়ে বেশি কার্যকর থাকে। মেয়াদ পেরোনোর পরে যত পুরনো হতে থাকে যন্ত্র, ততই হারাতে থাকে তার কার্যকারিতা।”
বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রও। মন্ত্রী বলেন, “অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি যুবভারতীতে দমকল, পুলিশ ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। দমকল সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করছে। ওই অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্রগুলিরও রিফিলিং করানো হবে।” তবে শুধু যন্ত্রগুলিই নয়, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা নিয়েই নানা অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, অত বড় স্টেডিয়ামে যতগুলি অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্র থাকার দরকার, ততগুলি নেই। খেলার সময়ে বা অনুষ্ঠান চলাকালীন যতগুলি দমকলের গাড়ি থাকার কথা, ততগুলিও থাকে না। এমনকী, আলাদা জলের আধারও পর্যাপ্ত নেই। যদিও মদনবাবু বলেন, “যেখানে যেখানে কাজ বাকি রয়েছে, আইপিএল-এর আগেই সেগুলি দ্রুত শেষ করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
|