অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগে ২০টি গাড়ি আটক করল জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। সোমবার রাতভর ওই তল্লাশি চলে। যাতে মেদিনীপুর শহর থেকে কোনও গাড়ি পালাতে না পারে, সে জন্য গোপগড়, আমতলা ঘাট, কেরানিতলা ও কালেক্টরেট চার জায়গায় ছিলেন দফতরের কর্মী-আধিকারিকেরা।
প্রশাসন জানিয়েছে, বেশিরভাগ লরিই ছিল বেআইনি। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিতে বেশি পরিমাণ বালি নিয়ে যাচ্ছিল কিছু লরি। কিছু লরির চালক সঙ্গে সঙ্গে জরিমানা দিয়ে দেয়। কয়েকটি লরি জরিমানা না দেওয়ায় আটক করা হয়। মোট ২০টি লরি আটক করা। প্রশাসন জানিয়েছে, রাতেই জরিমানা বাবদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। বাকিদের ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা হয়ে যাবে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্ত বলেন, “সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বেআইনি ভাবে যারা বালি নিয়ে যাচ্ছিল তাদের আটক করা হয়েছে। বেআইনি বালি তোলা বন্ধে আরও বেশি করে তল্লাশি চালানো হবে।”
কংসাবতী থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ক্রমাগত বালি তোলার জেরে ব্রিটিশ আমলের তৈরি অ্যানিকেত বাঁধও ভেঙে পড়েছিল। বাঁধ ভেঙে পড়ায় জল ধরে রাখা যায় না। ফলে প্রায় চারটি ব্লকের কয়েক হেক্টর জমিতে সেচ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন কয়েক হাজার চাষি। বেআইনি বালি তোলা বন্ধে জোরদার তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কাঁসাই নদীর কোন এলাকা থেকে বালি তোলা যাবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। বছর খানেক আগে টানা তল্লাশি চালানোয় কিছুদিন বেআইনি বালি তোলা বন্ধ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ফের চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। কেউ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পুরোটাই বেআইনি ভাবে বালি তুলছিল আবার কেউ ক্যারিং অর্ডারের (সিও) অতিরিক্ত বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। দিনের আলো এড়িয়ে সন্ধের পর থেকে চক্রটি সক্রিয় হয়েছিল বলে অভিযোগ আসে। সোমবার সন্ধের পর থেকেই জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর চারটি জায়গায় ছড়িয়ে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। |