বাজার তৈরিতে বাধা হচ্ছিল নিম ও মেহগনি গাছের গোটা কয়েক ডাল। তাই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বহরমপুর পুরসভা ছেঁটে ফেলল একটি পূর্ণবয়স্ক মেহগনি গাছের প্রধান ডাল।
প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ বহরমপুর কৃষ্ণনাথ রোডের উপর এই গাছ কাটা নিয়ে স্থানীয় মানুষের বিরোধিতা সত্ত্বেও কোনও হেলদোল নেই পুরকর্তাদের। পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্যের সাফাই, “মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির জন্য উন্নয়নের স্বার্থে মাত্র কয়েকটি ডাল কাটা হয়েছে। তাতেই এত সোরগোল। গাছের ডাল কাটতে সরকারি অনুমতিই তো লাগে না।” তাঁর আরও দাবি, “নুয়ে পড়া ডালগুলির কাছ দিয়ে বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইন গিয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে ডাল কাটতে হয়েছে।” |
গাছ কাটা বন্ধ করলেন বনকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র। |
অন্য দিকে, বন দফতরের বহরমপুরের রেঞ্জার শুভাশিস ঘোষ অন্য কথা শুনিয়েছেন, “ডাল কাটার জন্য অবশ্য অনুমতি লাগে না। কিন্তু গাছ মরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকলে সেই ডাল কাটতে দেওয়া হয় না।” মোটাসোটা ওই ডালগুলি কাটার ফলে দু’টি গাছের মৃত্যুর সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। এমনকী বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “গাছের মূল ডালই তো ছাঁটা হচ্ছে। গাছ তো মরবেই।” পুরপ্রধান অবশ্য চুপ।
কেএন রোড বরাবর রয়েছে পুরসভা নির্মিত দোতলা মার্কেট। তিন তলা নির্মানের কাজ চলছে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের জেলা কার্যালয়ের সামনের ওই দু’টি গাছের কয়েকটি ডাল ঝুলে থাকায় আটকে যাচ্ছে নির্মাণকাজ। তাই রবিবার ছুটির দিনে সাতসকালে শুরু হয় ডাল কাটার তোড়জোড়। স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ ৬ জন শ্রমিককে থানায় নিয়ে যায়। পরে বন দফতরের অনুমতিতে দেখালে ছাড়া পান তাঁরা। কিন্তু স্থানীয়দের বিরোধিতাকে আমল না দিয়ে মঙ্গলবার ডাল কেটে তা করে অন্যত্র নিয়ে গিয়েছে পুরসভা। রেঞ্জার শুভাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘দফতরের কাজে জেলার বাইরে আছি। দু’জন বিট অফিসারকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |