গত এক বছরে কাজিরাঙায় ৩৯টি গন্ডার বেড়েছে। দু’দিনের শুমারি শেষে কাজিরাঙায় বর্তমানে গন্ডারের সংখ্যা ২৩২৯ বলে জানানো হল। নাগাড়ে গন্ডার হত্যার ঘটনায় ব্যতিব্যস্ত বন বিভাগ ও আশঙ্কিত পশুপ্রেমীদের জন্য আশার কথা, শুমারির সময় ৪১১টি গন্ডার শাবকের দেখা মিলেছে।
গত বছর কাজিরাঙায় গন্ডারের সংখ্যা ছিল ২২৯০। এবারের শুমারিতে প্রাপ্তবয়স্ক গন্ডারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৩৪। এর মধ্যে ৬৪৫টি পুরুষ, ৮১০টি স্ত্রী-গন্ডার। ১৭৯টি গন্ডারের লিঙ্গ জানা সম্ভব হয়নি। তিন বছরের উপরে ও ৬ বছরের নীচে থাকা গন্ডারের মধ্যে পুরুষ ৯৭টি। স্ত্রী ৯৯টি। ৮৮টির লিঙ্গ নির্ধারণ হয়নি।
এক থেকে তিন বছরের মধ্যে শাবকের সংখ্যা ২৭৬ এবং এক বছরের নীচে শাবক দেখা গিয়েছে ১৩৫টি। ডিএফও এস কে শীলশর্মার মতে, এক বছরের নীচে ১৩৫টি গন্ডার শাবক পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য ঘটনা।” পাশাপাশি, মানস জাতীয় উদ্যানে প্রতিস্থাপিত দু’টি গন্ডারের দু’টি বাচ্চা হয়েছে। ফলে খুশি অসম বনবিভাগ। গত রাতে বোকাখাত পুলিশ পাঁচ চোরাশিকারিকে গ্রেফতার করে একটি স্টেন কার্বাইন, একটি .৩০৩ রাইফেল, গুলি, কুড়ুল ইত্যাদি উদ্ধার করেছে।
এ দিকে ঝড়-বৃষ্টির সুযোগে গন্ডার হত্যা করল শিকারিরা। শোণিতপুর জেলার গোহপুরের ঘটনা। রেঞ্জার বসন্ত কাকতি জানান, কাজিরাঙার ষষ্ঠ সংযোজন এলাকায় গত রাতে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি হয়। তার মধ্যেই শিকারিরা তিনটি গুলি চালিয়ে একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ গন্ডারকে হত্যা করে। আজ বাঘেটাপু শিবিরের কাছে গন্ডারটির খড়্গহীন মৃতদেহ পাওয়া যায়। চলতি বছরে শিকারিদের হাতে ১৩টি গন্ডারের মৃত্যু হল। বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন বলেন, “গন্ডারের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ভিতরে স্থান সংকুলানে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই গন্ডাররা বার হয়ে আসছে। কাজিরাঙা থেকে আরও গন্ডার মানসে প্রতিস্থাপন করা হবে। |