ফের ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন ডিপোর সামনের বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে গেল তিনটি বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে নিউ জলপাইগুড়ি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, যে বাড়িটিতে আগুন লেগে সেখানে চারটি ড্রামে ডিজেল ও পেট্রোল মজুত করা হয়েছিল। সেখানে আগুন লাগার পরই তা ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নামতে হয় সেনাকেও। প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্বে আসে। ঘটনার পর ফের এনজেপিতে চোরাই তেলের কারবারীদের সক্রিয় হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, আইওসি ডিপো এলাকায় কয়েকটি বস্তিতে চোরাই তেল মজুত করে রাখা হয়েছে। তা থেকেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও কয়েকবার ওই বস্তি সহ আশেপাশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। চোরাকারবারীদের মধ্যে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামও জড়িয়ে আছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার বলেন, “কয়েক দফায় চোরা কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবারেও ফের তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকল কর্মীরা। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
একসময় আনন্দ কুমার জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিংয়ে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব সামলেছেন। সে সময় তেল ডিপো এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বাম আমলে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শিলিগুড়িতে এসে ওই কারবারের কথা জানতে পেরে সেই সময়ের উত্তরবঙ্গের আইজি কুন্দনলাল টামটাকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সে সময় আইজি এনজেপি এলাকা পরিদর্শনেও যান। কিন্তু ছোটখাট রুটিন তল্লাশি চালানো ছাড়া আর কোনও কাজ হয়নি। এলাকার কাউন্সিলার জয়দীপ নন্দী স্বীকার করেন এলাকায় তেলের অবৈধ ব্যবসা চলছে। তিনি বলেন, “আমি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। কমিশনারের কাছে যাব। তাকে অনুরোধ করব এ’বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে।” তৃণমূল নেতারা অবশ্য তাদের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত আছে বলে স্বীকার করতে রাজি নন। |