টুকরো খবর
নয়া প্রযুক্তির কাজ শেষ, তবু ট্রেন বিভ্রাট
রুট রুলে ইন্টারলকিং (আরআরআই) সিস্টেম চালু করার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে সোমবারেই। কিন্তু তার পরেও অনিয়মিত ট্রেন চলাচলের জেরে মঙ্গলবার সারা দিন দুর্ভোগ পোহাতে হল দক্ষিণ-পূর্ব শাখার যাত্রীদের। তাঁদের অভিযোগ, সব লোকাল ট্রেনই দেড় থেকে দু’ঘণ্টা দেরিতে চলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানায়, এ দিন সাতটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সময় বদল করা হয়েছে দূরপাল্লার ১০টি ট্রেনের। রেল সূত্রের খবর, ২২ মার্চ দক্ষিণ-পূর্ব শাখার সাঁতরাগাছি স্টেশনে রুট রুলে ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেমের কাজ শুরু হয়। ঘোষণা অনুসারে ২৫ তারিখে সেই কাজ শেষও হয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এ দিন অধিকাংশ লোকাল ট্রেনই বাতিল করা হয়েছে। যে-ক’টি লোকাল চলছে, তারাও দেরি করছে অনেক। হাওড়া স্টেশন থেকে ১৫ মিনিটের রাস্তা দাশনগর পৌঁছতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে গিয়েছে। বিকেলের দিকে সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। দোলের আগের দিন হওয়ায় অনেকেই এ দিন হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রেন দেরিতে চলায় চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হয় বলে যাত্রীদের অভিযোগ। বাগনানের বাসিন্দা রূপক দাস বলেন, “সকালে অফিস আসার সময় সাঁতরাগাছি থেকে হাওড়া আসতে প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে।” বাউড়িয়া থেকে প্রতিদিনই কলকাতার অফিসে আসেন মোনালিসা কর্মকার। তিনি বললেন, “কী উন্নত সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু করা হল, বুঝতে পারলাম না। কাজ শেষ হতে না-হতেই ফের শুরু হল সমস্যা।”

নিয়োগ পরীক্ষায় সব জেলায় বাড়তি কেন্দ্র
প্রায় ৫০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর কেউ যাতে পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না-হন, তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি জেলায় একটি করে বাড়তি পরীক্ষা কেন্দ্রের বন্দোবস্ত করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য মঙ্গলবার এ কথা জানান। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ হাজার শিক্ষক-পদে নিয়োগের জন্য রবিবার পরীক্ষা নেবে পর্ষদ। পরীক্ষা নিয়ে এ দিন মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, স্কুলশিক্ষা সচিব অর্ণব রায়, মানিকবাবু-সহ পর্ষদের কর্তারা। পরে পর্ষদ-প্রধান জানান, রাজ্য জুড়ে পরীক্ষা কেন্দ্র খোলা, সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে প্রার্থীরা ওয়েবসাইটে তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম জানতে পারবেন বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। কিন্তু অনেক প্রার্থীই তা জানতে পারছেন না বলে অভিযোগ। মানিকবাবু জানান, পরীক্ষার্থীদের আসন কোথায় পড়েছে, তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এর পরেও যদি কোনও প্রার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র নির্দিষ্ট না-হয়ে থাকে, সেই জন্যই জেলায় জেলায় বাড়তি কেন্দ্রের বন্দোবস্ত করছে পর্ষদ। যাঁরা ওয়েবসাইটে পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম জানতে পারবেন না, তাঁরা ওই বাড়তি কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন। আজ, বুধবারের মধ্যে সব প্রার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র চূড়ান্ত করে ফেলা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মানিকবাবু। তিনি বলেন, “অ্যাডমিট কার্ড থাকলে কোনও পরীক্ষার্থীই পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন না।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.