ইংল্যান্ডের কাছে হারা এবং ইতালির সঙ্গে ড্র করার পর এ বার নতুন ব্যর্থতার সামনে ব্রাজিলের তরুণ ব্রিগেড। ফুটবল বিশ্বের এক সময়কার সম্রাটরা সোমবার রাতে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলিতে ফ্রেডের শেষ মিনিটের গোলে কোনও মতে হারা ম্যাচ ড্র করল। তা-ও আবার তারকাহীন, দুর্বল রাশিয়ার সঙ্গে।
২০০২ বিশ্বকাপ জেতার পর যে ব্রাজিল টানা পাঁচ বছর রাজত্ব করেছিল বিশ্বফুটবলের এক নম্বরের সিংহাসনে, সেই ব্রাজিলই এখন ধারাবাহিকতার অভাবে বেরিয়ে গিয়েছে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম দশ দেশ থেকে! সদ্যপ্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা রয়েছে আঠারো নম্বরে। স্পেন, ইতালি, ইংল্যান্ড, জার্মানি, আর্জেন্তিনা তো পেলের দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েইছে। এমনকী পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, গ্রিস, উরুগুয়েও পিছনে ফেলে দিয়েছে কাকা-রোনাল্ডিনহোদের। |
দ্বিতীয় বার ব্রাজিল কোচ হয়ে ফেরার পর এটা ছিল বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুই ফিলিপ স্কোলারির তৃতীয় ম্যাচ। কিন্তু ‘থার্ড টাইম লাকি’ হতে পারলেন না তিনি। ব্রাজিল কোচ হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে আপাতত পরিসংখ্যান দাঁড়াল, দুটো ড্র এবং একটা হার।
থিয়াগো সিলভা-ডেভিড লুইজ জুটিকে রক্ষণে রেখে সোমবার নেইমার, অস্কারের মতো তরুণ তারকাদের নিয়ে আক্রমণ সাজিয়েছিলেন স্কোলারি। অন্য দিকে আর্শাভিন-পাভলুচেঙ্কো না থাকায় দুর্বল দল নামাতে বাধ্য হয়েছিলেন রাশিয়ার ইতালীয় কোচ ফাবিও কাপেলো। অনেক সুযোগ নষ্ট করেও ৭৩ মিনিটে ভিক্টর ফেইতজুলিনের গোলে ১-০ এগিয়ে যায় প্রাক্তন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ কাপেলোর বর্তমান টিম। তবে বিশ্ব জুড়ে থাকা ব্রাজিল ভক্তদের মান বাঁচান ফ্রেড। চেলসির হোম গ্রাউন্ড স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ৯০ মিনিটে মার্সেলোর ক্রস থেকে গোল করে ইংল্যান্ডের মাটিতে আর একটা লজ্জাজনক হার থেকে দলকে রক্ষা করেন। লজ্জার হাত থেকে বাঁচান প্রাক্তন চেলসি কোচ স্কোলারিকেও। অধরা জয়ের জয় হ্যাটট্রিকের পরেও স্কোলারির বক্তব্য, সঠিক রাস্তাতেই এগোচ্ছে ব্রাজিলের নতুন প্রজন্ম। “আমরা ঠিক পথেই এগোচ্ছি। প্রতিটা ম্যাচে উন্নতি করছি। বিশ্বকাপের প্রতিটা পর্বে ভাল খেলেই ফাইনালে ওঠা যায়। প্লেয়ারদের মধ্যে সেই লড়াকু মনোভাবটা আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,” বলছেন ‘বিগ ফিল’। যদিও ব্রাজিলের প্রচারমাধ্যম দলকে ‘অনভিজ্ঞ’ তকমা দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, রোনাল্ডো-কাফুদের সময়কার সাফল্য ব্রাজিল আর কোনও দিন পাবে কি না। |