ঠিক আড়াই বছর লাগল টাইগার উডসের জীবনে বসন্ত ফিরতে। গত সপ্তাহে অলিম্পিক স্কি চ্যাম্পিয়ন লিন্ডসে ভনের সঙ্গে ডেটিং করার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন কিংবদন্তি গল্ফার। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই পুনর্দখল করলেন নিজের হারানো সাম্রাজ্য। বিশ্বের এক নম্বর র্যাঙ্কিং।
সোমবার ফ্লোরিডায় আর্নল্ড পামার আমন্ত্রণী গল্ফ টুর্নামেন্ট অষ্টম বার জয় উডসকে শুধু গল্ফের দুনিয়ার শীর্ষেই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করল না, দু’সপ্তাহ পর শুরু হওয়া এ বছরের প্রথম মেজরের আগে প্রচণ্ড তাৎপর্যপূর্ণ অক্সিজেনও যোগাল। ব্যক্তিগত জীবনে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে, ফর্ম হারিয়ে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে গিয়েছিলেন ৫৮-এ। উডসের ফের বাঘ হয়ে উঠতে পারাটাই তখন অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল অনেকের কাছে। হয়তো উঠসের নতুন প্রেমিকার কাছেও। তাই টাইগার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে প্রত্যাবর্তন করার কিছুক্ষণ পরেই লিন্ডসে টুইট করেন, ‘এক নম্বর!!!!!!’। |
উডস নিজেও কি ভেবেছিলেন এত দ্রুত নিজের সাম্রাজ্য পুনর্দখল করতে পারবেন? জীবনে আসা হঠাৎ ঝড়ে এক সময় গল্ফ-সম্রাটের আত্মবিশ্বাসটা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল ঠিকই।. কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি কখনই। তাই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠার পর টাইগার বলে দিয়েছেন, ‘‘পরিশ্রম, ধৈর্য এবং টুর্নামেন্ট জিততে শুরু করার ফলেই আবার এক নম্বরে পৌঁছতে পেরেছি।’’
টাইগারের দুরন্ত ফর্মের ঝলক অবশ্য মরসুমের শুরু থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। গত ২০টি মার্কিন পিজিএ ট্যুর ইভেন্টের মধ্যে উডস যে ছ’টা খেতাব জিতেছেন, তার তিনটেই এ বছরের প্রথম তিন মাসে। ফ্লোরিডায় সোমবার রাতে চূড়ান্ত রাউন্ডের আগে হঠাৎ ঝড় ধেয়ে আসে বে হিল গল্ফ কোর্সে। সেটা থামার পরই শুরু হয় টাইগারের ‘ক্লাব’-এর ঝড়। ফাইনাল রাউন্ডে উডস স্কোর করেন ৭০। শেষ করেন ১৩ আন্ডার পার-এ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের জাস্টিন রোজের থেকে দুই শট এগিয়ে।
ট্রফি নেওয়ার সময় বোঝা গেল, শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, টাইগার লড়ছিলেন আবেগের সঙ্গেও। বলেছেন, ‘‘এই ইভেন্ট আমার কাছে সব সময়ই স্পেশ্যাল। আমার প্রথম কেনা বাড়িটাও অরল্যান্ডোতে। আমার দুই বাচ্চাও এখানেই জন্মেছে।’ গত অগস্টে পিজিএ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে ররি ম্যাকইলরয় বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর জায়গা ধরে রেখেছিলেন এত দিন। চলতি সপ্তাহে শেল হাস্টন ওপেন জিতলে টাইগারকে সরিয়ে আবার ম্যাকইলরয় র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে চলে আসবেন। মেজরে নামার আগে অবশ্য টাইগার এ সব নিয়ে ভাবছেন বলে মনে হয় না। সাম্রাজ্য পুনর্দখলের পর টাইগার এখন ক্ষুধার্ত। |