প্রদীপ-কমল খুনে ছাড় তিন জনের, ফের তদন্ত
সিআইডি-র তদন্ত নিয়ে আগেই সংশয় প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। এ বার প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনে সিআইডি-র পেশ করা চার্জশিটে তিন জনের নাম বাদ দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, তা ফের তদন্ত করে দেখতে বলল বর্ধমান সিজেএম আদালত।
গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারি ঘটা ওই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ২২ জনের মধ্যে তিন জনকে অব্যাহতি দিয়েছিল সিআইডি। বাকি ১৯ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়। সিআইডি কেন তিন জনকে অব্যাহতি দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন প্রদীপবাবুর ভাই প্রবীর তা। হাইকোর্টের নির্দেশেই সোমবার এসএস (সিআইডি)-কে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারি। আগের তদন্তে যে অফিসারেরা যুক্ত ছিলেন তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। আগামী ১১ জুনের মধ্যে সিআইডি-কে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এক বছরেরও বেশি আগে বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে সিপিএমের দেওয়ানদিঘি জোনাল অফিসের কাছেই প্রকাশ্যে পিটিয়ে-কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপবাবুকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন সত্তরোর্ধ্ব কমলবাবুও। খুনে জড়িতেরা সকলেই তৃণমূলের লোক বলে অভিযোগ করে সিপিএম। জেলা পুলিশ প্রথমে ঘটনাস্থল থেকেই চার জনকে গ্রেফতার করে। পরে মামলার তদন্তভার হাতে পেয়ে সিআইডি ধরে আরও সাত জনকে। বাকি ১১ জনকে আজও ধরা যায়নি।
কিন্তু গত বছর ৯ মে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখার অফিসার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে ১৯ জনের নামে আদালতে চার্জশিট পেশ করেন তাতে ১১-র বদলে আট জনকে পালাতক দেখানো হয়। বাদ দেওয়া হয় তিন জনের নাম। এঁরা হলেন ১৯৭২ সালে খুন হওয়া (মূল অভিযুক্ত ছিলেন প্রদীপ তা) প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক কাশীনাথ তায়ের জামাই তাপসকুমার গুপ্ত, নাতি সাহেব গুপ্ত এবং সরকারি কর্মী সিদ্ধেশ্বর হাজরা। তদন্তকারী অফিসার কল্যাণবাবুর যুক্তি ছিল, খুনের সময়ে প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মী তাপসবাবু ভাতারে নিজের কর্মস্থলে ছিলেন। তাঁর ছেলে সাহেব ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগুইআটির ফ্ল্যাটে। আইসিডিএস কর্মী সিদ্ধেশ্বরবাবু বর্ধমানে পূর্ত ভবনে কর্মরত ছিলেন। কল্যাণবাবু আদালতকে জানান, তিন অভিযুক্তের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখেই তাঁরা নিশ্চিত হন যে ওঁরা ঘটনার সময়ে অন্য জায়গায় ছিলেন।
মঙ্গলবার প্রবীরবাবুর আইনজীবী কমল দত্ত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমরা চাইছিলাম, দুই সিপিএম নেতা খুনের ঘটনায় ওই তিন জনের কী ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে নতুন করে তদন্ত হোক। সিআইডি যে কারণ দেখিয়ে তিন জনের নাম বাদ দেয়, তা হাস্যকর ও তুচ্ছ। কেউ নিজের মোবাইল এক জায়গায় রেখে নিজে অন্য জায়গায় হাজির থাকতেই পারেন। বা, তাঁর মোবাইল অন্য কেউ ব্যবহার করতেই পারেন। কিন্তু পক্ষপাতের কারণেই সিআইডি ঠিক মতো তদন্ত না করে তিন জনকে অব্যাহতি দেয়। সে কারণেই আদালত আগের তদন্তকারীর বদলে নতুন কোনও সিআইডি অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করাতে বলেছে।” ওই তিন জনের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “হাইকোর্ট সিজেএম আদালতকে হয় বিচারবিভাগীয় অথবা সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত করাতে বলেছিল। সিজেএম দ্বিতীয় পথ নিয়েছেন। আমরাও চাই, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.