৪ দিন ধরে গরুমারায় বিদ্যুৎ নেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
৪ দিন বিদ্যুতহীন কাটছে ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যানের একটি বিট অফিস ও দুটি বনবস্তির বাসিন্দাদের। বিকেলের পর এলাকা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। রাতে হাতির হামলার ঘুমোতে পারছে না কেউ। বিট কর্মীরা লন্ঠন জ্বালিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় তাঁরা হাতি তাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত সার্চ লাইটের ব্যাটারির চার্জ দিতে পারছেন না তাঁরা। সমস্যার কথা কয়েকবার বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের কর্তাদের জানিয়ে লাভ হয়নি। যদিও নিগমে উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক ম্যানেজার অশোক সিংহ বলেন, “দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাওয়াফুলি ও ভাওয়াজোত বনবস্তি এলাকায় শুক্রবার থেকে বিদ্যুৎ নেই। বড়দিঘি বিট অফিস বিদ্যুৎহীন পড়ে আছে। কেন এলাকায় বিদ্যুৎ নেই সেটা কেউ বলতে পারছেন না। অভিযোগ, খবর দেওয়া হলেও নিগম কর্মীরা এলাকায় যাননি। জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণ-২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক এই প্রসঙ্গে বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় আছেন। বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের কর্তাদের ঘটনার কথা জানানো হয়েছে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দুটি গ্রামে বিদ্যুৎ নেই সেখানে প্রায় ছয় হাজার মানুষ বসবাস করেন। এলাকায় হাতি, চিতাবাঘ ও বাইসনের উপদ্রব লেগে থাকে। বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুতের আলো থাকলে সহজে বন্যপ্রাণীরা এলাকায় ঢুকতে সাহস পায় না। কিন্তু গত চারদিন হয়েছে বিকেলের পরে অন্ধকার পরিবেশ পেয়ে বুনোদের হানা বেড়েছে। ছাওয়াফুলির গোপাল পাইক বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে ঘুমোতে পারি না। কখন হাতি ঢুকবে ভরসা নেই। তখন কিছু দেখা যায় না। সার্চ লাইটও অকেজো।” |