০-৪ হার হজম করা কঠিন। তবে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যেটা আরও বেশি খারাপ সেটা হল, সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে ওরা যে ভাবে প্রতিটা টেস্টে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করল! চারটে টেস্টে টস জেতার পরও।
ধোনি আর ওর দলকে পুরো নম্বর দেব। ওরা দেখিয়ে দিয়েছে, ভারতের নতুন প্রজন্ম বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করার জন্য প্রস্তুত। ভারত খুব দ্রুত নতুন দল তৈরি করে ফেলেছে। ওদের ২০১২-র সমস্যা এখন অতীত। এখন দেখতে আগ্রহী যে, বিদেশের মাঠ-পরিবেশে ওরা কেমন করে। যেখানে আবার অস্ট্রেলিয়ার দরকার দলের মধ্যেকার সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে ফেলা। সব মতভেদ মুছে ফেলা।
এই সিরিজে সংবাদমাধ্যমকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের সরল ভাবে সামলাতে দেখে বিশেষ অবাক হয়েছি। হাসি বা পন্টিংয়ের অবসর থেকে ফেরা উচিত-এর মতো বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আলোচনা করে মনে হয় না কোনও লাভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। কোচ মিকি আর্থার এই বিষয়টা তুলে ইতিমধ্যেই রান-খরায় ভোগা অজি মিডল অর্ডারের কোনও সাহস বাড়াতে পারেনি। এ জাতীয় স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ কোনও দলের কাছে প্রকাশ্যে আলোচনার বিষয় নয়। আশা করব ভবিষ্যতে অস্ট্রেলীয় টিম পরিচালন সমিতির সদস্যরা এ ব্যাপারে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় রাখবে।
অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ব্যাটিং এই মুহূর্তে খুব খারাপ অবস্থায়। ভারত সফরেই অ্যাসেজের কথা ভেবে অস্ট্রেলিয়ার উচিত ছিল টপ অর্ডারকে স্থিতিশীল করে তোলা। যেটা হয়নি। উসমান খোয়াজার একটা সুযোগ পাওয়া অবশ্যই উচিত ছিল। ভারতীয় পরিবেশে এক জন পাক বংশোদ্ভূত ব্যাটসম্যানের নিজের স্কিল দেখানোর সুযোগ না পাওয়াটা দুঃখের। পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে না পারার দোষে প্রতিটি অজি ব্যাটসম্যান দায়ী।
বোলিংয়ে উঁচু মানের স্পিনার না থাকাটা এখনও কষ্ট দিচ্ছে। অজুহাত দেওয়া হচ্ছে, ওয়ার্নের মতো স্পিনার আমাদের আর আসবে না। কিন্তু সঙ্গে হয়তো এও মনে করা হচ্ছে যে, ও রকম বোলার টুপ করে হাতে এসে পড়বে। লিয়ঁ সিরিজে ভাল স্পিন বোলিং করেছে। নির্বাচকদের উচিত পরের সিরিজগুলোতে ওর পাশে দাঁড়ানো। তবে সব শেষে বলতেই হবে, চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে ধোনির ধুন্ধুমার ডাবল সেঞ্চুরিটা সিরিজের মেজাজ ভারতের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওর পর ধোনির ভারতকে আর থামানো যায়নি। |