কচুরিপানার আড়াল সরিয়ে আলোর মুখ দেখতে শুরু করল ইছামতী। তবে নতুন জীবন ফিরে পাওয়ার সময়ও ইছামতীকে পিছু ছাড়ল না বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ইছামতী নদী সংস্কারের কাজ। রোজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শ’দুয়েক পুরুষ ও মহিলা বনগাঁ শহরের ইছামতী থেকে কচুরিপানা তোলার কাজ শুরু করেছেন। কাজের তদারকি করছেন পুরসভার সাফাই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলার হিমাদ্রি মণ্ডল।
কিন্তু ওই সংস্কার কাজ নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে বনগাঁ পুরসভা ও বনগাঁ মহকুমা প্রশাসনের মধ্যে। কাজটি করা হচ্ছে বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য বলেন, “মহকুমা শাসকের কাছে ৭ ফ্রেবুয়ারি চিঠি দিয়ে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে কচুরীপানা সরানোর জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই পুরসভা নিজেদের তহবিল থেকে খরচা করে ইছামতী সংস্কার করছে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় কলেজ ঘাট থেকে আপনজনের মাঠ পর্যন্ত নদীপথে কচুরিপানা তোলা হচ্ছে। যে শ্রমিকেরা কাজ করছেন তাঁদের দৈনিক ২০০টাকা করে মজুরি দেওয়া হচ্ছে। |
সহযোগিতা না করার অভিযোগ অস্বীকার করে মহকুমা শাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পৌর এলাকায় কাজের নিয়ম নেই। তাছাড়া একশো দিনের প্রকল্পে কচুরিপানা তোলার কাজ জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এ বছর বন্ধ রয়েছে।”
বিতর্ক থাকলেও এই সংস্কারে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। ইছামতী নদী বনগাঁবাসীর কাছে একটা আবেগের নাম। এই নদীকে কেন্দ্র করে নানা স্মৃতি রয়েছে বনগাঁবাসীর হৃদয়ে। এর আগে কচুরিপানা ও নোংরা আবর্জনায় ভরে থাকায় দূষণ ছড়াচ্ছিল এলাকায়। বাড়ছিল মশার উপদ্রব।
তবে শহরে আপন রূপে ফিরে এলেও গ্রামীণ এলাকায় অবশ্য এখনও ইছামতী মুখ ঢাকবে কচুরিপানায়। বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন দত্ত বলেন, “জেলা প্রশাসনকে বার বার অনুরোধ করে সমস্যার সুরাহা পাওয়া যায়নি।” |