আগামী ৩১ মার্চ রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, জেলার থানাগুলিতে বেশি সংখ্যক পুলিশ না থাকায় সব পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পুলিশ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
জেলাশাসক নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির জন্য জেলার হেড কোয়ার্টার্স থেকে পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি বলেন, “পরীক্ষার এখনও কয়েকদিন বাকি। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হবে।”
বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ শিক্ষক না থাকায় এ বছর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ৩১ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হওয়ার কথা। প্রাথমিক শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৯ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২৪টি।
কিন্তু সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পুলিশ দেওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সমস্যা। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন বা ৩ জন করে পুলিশ পাঠানোর মতো পরিকাঠামো জেলার থানাগুলিতে নেই। জেলায় মোট থানার সংখ্যা ৩৩টি। গড়ে প্রতিটি থানায় রয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশকর্মী।
আবার অন্যদিকে যে সমস্ত গ্রাম রক্ষীবাহিনীর (ভিলেজ পুলিশ) সদস্য মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা বেশিরভাগই এ বার প্রাথমিক শিক্ষক পদের পরীক্ষার্থী। ফলে তাঁদের পাওয়া যাবে না। কিন্তু পুলিশি ব্যবস্থা কম থাকার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে টোকাটুকি, সময়মত প্রশ্নপত্র কেন্দ্রগুলিতে পাঠানো এবং উত্তরপত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। যা নিয়ে গোলমালের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উত্তরপত্র ছিনতাইয়েরও আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সংখ্যার উপর নির্ভর করবে স্কুলের আসন-বিন্যাস। সে ক্ষেত্রে বড় স্কুলে বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থী থাকলে পুলিশের প্রয়োজনও হবে আরও বেশি।
তবে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের আশ্বাস সত্ত্বে পরীক্ষা নির্বিঘ্নে মিটবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বহু পরীক্ষার্থীরই। |