যুব সভাপতি পদে লড়াই অধীর-দীপা শিবিরের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদের লড়াই কার্যত এ বার দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধীর চৌধুরী এবং দীপা দাশমুন্সির মধ্যে। অধীরবাবুর প্রার্থী মুর্শিদাবাদের সাংসদ মান্নান হোসেনের পুত্র শৌমিক। অধীরবাবু ছাড়াও শৌমিককে সমর্থন করছেন আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী, বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তী প্রমুখ। দীপার প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য। এই অরিন্দম গত বার যুব কংগ্রেস সভাপতি পদে সাংসদ মৌসম বেনজির নূরের কাছে পরাস্ত হয়ে ভোটের দিন নজরুল মঞ্চে ব্যাপক গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন। যার জেরে অরিন্দম ও তাঁর অনুগামীদের দু’বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সাসপেন্ড হওয়া সেই অরিন্দমকেই ফের এ বার রাজ্যের যুব সভাপতি পদে দীপা সমর্থন করায় দলের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। যুব সভাপতি পদে ভোটগ্রহণ আগামী ৩ এবং ৪ এপ্রিল। ভোটগণনা ৬ এপ্রিল। শনিবার ওই পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। এ দিনই শৌমিক এবং অরিন্দমদু’জনেই মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এক কংগ্রেস নেতার উষ্মা, “অভিযুক্ত ও সাসপেন্ড হওয়া ব্যক্তিকে ফের সভাপতি পদে দীপাদেবীরা কেন সমর্থন করছেন, বুঝছি না। যুব সংগঠনই তো কংগ্রেসের মেরুদণ্ড।” দীপা অবশ্য বলেন, “অরিন্দমকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। সে জন্যই তো যুব কংগ্রেসের সদস্য হতে পেরেছে অরিন্দম। ফলে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়া নিয়ে সমস্যা কেন হবে!” আইনি সমস্যা না থাকলেও অরিন্দমকে তাঁর সমর্থনের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে দীপাদেবী বলেন, “গত বার অরিন্দমকে সমর্থন করেছিলাম। সে জন্য এ বারও আমার নাম জড়াচ্ছে। যদিও এ বার আমি ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নই।”
|
হস্টেল ছেড়েছেন বেসুতে র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত ছাত্ররা |
র্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (বেসু)-র ছ’জন ছাত্র শনিবার সকাল ৯টার আগেই হস্টেল ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন বেসু কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, নবীনবরণের অনুষ্ঠানের জন্য আর্কিটেকচার বিভাগের প্রথম এবং পঞ্চম বর্ষের ছ’জন ছাত্র প্রথম বর্ষের ছাত্রদের কাছ থেকে জোর করে দু’হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরই সক্রিয় হয়ে ওঠেন বেসু কর্তৃপক্ষ। বেসুর উপাচার্য অজয় রায় বলেন, “ঘটনাটি আপাতভাবে বড় নয়। কিন্তু অন্য ছাত্রদের কড়া বার্তা দিতেই ওই ব্যবস্থা নিয়েছি।” বেসু সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে ওই ক্যাম্পাসের ভিতরে র্যাগিং, ছাত্র সংঘর্ষ এবং কোনও ধরনের ছাত্র অসন্তোষের মতো ঘটনা ঘটেনি। এমনকী, ক্যাম্পাসের ভিতরে ছাত্র সংঘর্ষ এড়াতে কর্তৃপক্ষ ছাত্র নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছেন। তার বদলে সঙ্গীত, নাটক, ফটোগ্রাফির মতো গঠনমূলক কাজে পড়ুয়াদের যুক্ত করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ফিরেছে বলেই কর্তৃপক্ষের ধারণা। তাই শুক্রবারের ঘটনাটিকে ছোট করে না দেখে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছেন। শুক্রবারের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সোমবার চার সদস্যের কমিটি গড়া হবে। সাত দিনের মধ্যে ওই কমিটি উপাচার্যের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান উপাচার্য।
|
জেলা শহরের জন্যও পূর্বাভাস |
আবহাওয়া আগাম কী করে জানা যায়, তা বুঝছেন
পড়ুয়ারা। শনিবার আবহাওয়া অফিসে।—নিজস্ব চিত্র |
কলকাতা ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা শহরের জন্য বিশেষ পূর্বাভাস চালু করছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও মালদহের জন্য এই পূর্বাভাস দেওয়া হবে। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর, শ্রীনিকেতন ও বাঁকুড়ার জন্যও এই পূর্বাভাস মিলবে। আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা জানান, এখন আগামী দু’দিনের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। নতুন ব্যবস্থায় তা চার দিনের জন্য মিলবে। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, শনিবার বিশ্ব আবহাওয়া দিবস থেকেই তার সূচনা হয়েছে। তবে দফতরের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এখনও দেওয়া হয়নি। আলিপুরের আবহবিদেরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ওয়েবসাইটে সেই তথ্য মিলবে। আলিপুরের আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে ডুয়ার্স, দার্জিলিং, হাজারদুয়ারি, শান্তিনিকেতনের মতো রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের জন্য বিশেষ পূর্বাভাস ব্যবস্থা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে কবে থেকে তা চালু হবে, এখনও তা স্থির করা হয়নি বলে হাওয়া অফিসের এক কর্তা জানিয়েছেন। |