চলতি বছরের দশম গন্ডার হত্যার ঘটনাটি ঘটল কাজিরাঙায়। বন দফতর সূত্রে খবর, গত কাল রাত দেড়টা নাগাদ বুড়াপাহাড় রেঞ্জের বরহলা ও সরালি বনশিবিরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে একাধিক গুলির শব্দ হয়। বনরক্ষীরা তল্লাশি চালিয়েও গুলির উৎস সন্ধানে ব্যর্থ হন। আজ সকালে একটি গন্ডারের খড়্গহীন মৃতদেহের পাশে কুড়ুল, একে-৪৭ ও .৩০৩ রাইফেলের কার্তুজ মেলে। গন্ডারের দেহ উদ্ধারে গিয়ে বনরক্ষীরা স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে ঘেরাও হন। পুলিশ শিকারিদের সন্ধানে গ্রামে তল্লাশি চালাতে গেলে শুরু হয় বিক্ষোভ।
কাল একই রেঞ্জের দেওজুরি শিবিরের কাছে একটি গন্ডারের দেহ মিলেছিল। এ বছর বুড়াপাহাড়ে নিহত গন্ডারের সংখ্যা দাঁড়াল ৩টি। গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরেও এই রেঞ্জে তিনটি গন্ডার মারা হয়। পুলিশের সন্দেহ, বুড়াপাহাড়ের যে ভাবে একে-৪৭ রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে মনে হয় কার্বি জঙ্গিরা এই ঘটনায় জড়িত। বুড়াপাহাড় রেঞ্জের পাশেই কার্বি আংলং-এর পাহাড়ে কেপিএলটি জঙ্গিদের ঘাঁটি রয়েছে। এর আগেও জঙ্গিদের কাছে গন্ডারের খড়্গ থাকার কথা ধৃত খড়্গ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে পুলিশ। বনকর্তাদের বক্তব্য, দুর্গম পাহাড়-জঙ্গলে তল্লাশি চালানো বনরক্ষীদের পক্ষে সম্ভব নয়। বিধানসভায় বিরোধীরা প্রবল প্রতিবাদ জানান। বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন জানান, শিকারিদের মোকাবিলায় বনরক্ষীদের এসএলআর দেওয়া হয়েছে। একে-৪৭ দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। আগামী কাল থেকে কাজিরাঙায় দু’দিনের গন্ডার শুমারি শুরু হচ্ছে। গত বছরের হিসেবে, জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের সংখ্যা ছিল ২২৯০টি।
অন্য দিকে, চতিয়ায় গত কাল হানিফ আলি নামে এক চোরাশিকারিকে আটক করেছিল পুলিশ। আজ হানিফকে ছাড়াবার জন্য জাকির হুসেন ও রুস্তম আলি নামে দুই ব্যক্তি পুলিশকে ঘুষ দিতে আসে। তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ১৮৭৭ সালে। বিজ্ঞানীরা ধরেই নিয়েছিলেন সে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ ১৩৫ বছর পরে ফের তার দেখা মিলল। সে গেকোয়েল্লা জেপোরেনসিস। এক বিশেষ প্রজাতির সরীসৃপ। ইকোলজিকাল সায়েন্সেস-এ গবেষণারত ইশান অগ্রবাল, অনিরুদ্ধ দত্তচৌধুরী এবং তরুণ খিচি ২০১০ সালে এর খোঁজ শুরু করেন। মূলত তাঁদেরই উদ্যোগে গত দু’বছর ধরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা পূর্বঘাট পর্বতমালায় এর খোঁজে অভিযান চালাচ্ছিল। অবশেষে খোঁজ মিলেছে তার। |