আগুনে পুড়ে ছাই হল ৮টি পরিবারের ২২টি ঘর। আগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেল বেশ কিছু গবাদি পশু। বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামপুর থানার গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের কাদখোয়ায় ঘটনাটি ঘটে। দুটি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, আবর্জনার স্তূপ থেকে ওই আগুন ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আবর্জনার স্তূপে প্রায়ই আগুন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতেও ধিকধিকি আগুন জ্বলছিল। ওই কারণে অনেকে টের পায়নি। দমকা হাওয়ায় আগুন প্রথমে খড়ের গাদায় ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিক ভাবে প্রত্যেকের সন্দেহ। সেখান থেকে একের পর এক ঘরে আগুন লাগে। পুড়ে মারা যায় ৬টি গরু, ২টি মোষ, ১০টি ছাগল। স্থানীয় বাসিন্দা তাসির মহম্মদ বলেন, “টের পেয়ে এলাকার লোকজন প্রথমে মাটি ও জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু লাভ হয়নি। একের পর বাড়ি পুড়ে ছাই হয়।” এর পরে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, জলের সমস্যার জন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। ইসলামপুরের বিডিও স্মৃতা সুব্বা বলেন, “ঘটনাস্থলে যুগ্ম বিডিওকে পাঠানো হয়েছে। ভাল ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু গবাদি পশু মারা গিয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।” এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে গেলে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পঞ্চায়েত প্রধানকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের জন্য পঞ্চায়েত কর্তাদের তৎপরতা দেখা যায়নি। গোবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সামিরুল হক বলেন, “আগুনে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। পঞ্চায়েত তরফে যত সম্ভব সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে।” ঘটনাস্থলে যান ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস নেতা কানাইয়ালাল অগ্রবাল, ইসলামপুরের বিধায়কের প্রতিনিধি জাভেদ আখতার প্রমুখ। |