গত বছর ৬ মে গাইঘাটার মণ্ডলপাড়ায় কাঠচোরদের কেটে রাখা গাছের ডাল অটোর উপরে পড়ায় মারা গিয়েছিলেন চারজন মহিলা। ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কাঠচোরদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। তিনজনকে গ্রেফতারও করা হয়। ফের সেই গাইঘাটাতেই গাছের ডাল ভেঙে অটোর উপরে পড়ায় গুরুতর জখম হলেন চালক-সহ তিনজন। তাঁদের বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় ফের যশোহর রোডের ধারে থাকা গাছের উপরে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি ও দেখভাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে গাইঘাটার দোগাছিয়া এলাকায়। যাত্রীবোঝাই অটোটি গাইঘাটার চাঁদপাড়া থেকে বনগাঁর দিকে যাচ্ছিল। দোগাছিয়ার কাছে হঠাত্ই গাছের একটি সজীব ডাল অটোর সামনের অংশে ভেঙে পড়ে। |
আহত যাত্রীদের একজন নিতাই সরকার বলেন, “চাঁদপাড়া থেকে অটোয় উঠেছিলাম। দোগাছিয়ার কাছে আসতেই অটোর উপরে একটা প্রচণ্ড শব্দ হয়। তারপর আর কিছু মনে নেই। পরে দেখি হাসপাতালে শুয়ে আছি।” এলাকার বাসিন্দারা জানান, ওই গাছে একটি টিয়াপাথি বাসা বাঁধে বাচ্চা দিয়েছিল। কয়েকজন যুবক বাচ্চাগুলি নিয়ে যাওয়ার সময় গাছের ডালে কোপ মেরে যায়। সম্ভবত সেই ডালটিই এ দিন ভেঙে পড়ে। কাঠচোরেরাই এই কাজ করেছিল কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশাসনের দাবি, যশোহর রোডের ধারে গাছের দেখভালের দায়িত্ব জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। যদিও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বাস্তুকার জয়ন্ত সেন এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা সড়ক সুরক্ষা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের অভিযোগ, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সমস্যা কী বাবে মেটানো যায় তা নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি।” বনগাঁ ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ঘটনার প্রতিবাদে ও কাঠচোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এসডিপিওর রাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সংস্থার সম্পাদক সমীর দাস বলেন, “কাঠচোরদের জন্যই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।” পুলিশের তরফে কাঠচোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। |