|
|
|
|
প্রাপ্য মজুরি চেয়ে অবরোধে শ্রমিকরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
জঙ্গলমহল সফরে ১০০ দিনের প্রকল্পে ২০০ দিন কাজ করানোর পরিকল্পনার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পূর্ব মেদিনীপুরে বাস্তব চিত্রটা অন্যরকম। কাজ হচ্ছে কিন্তু মজুরি পাচ্ছেন না শ্রমিকেরা। শুক্রবার এই অভিযোগে হলদিয়ার চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কলতলায় পথ অবরোধ করলেন শ্রমিকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন এলাকার ডালিম্বচকের একটি পুকুর কাটার কাজে যুক্ত মহিলা-সহ প্রায় একশো শ্রমিক সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বালুঘাটা-কুকড়াহাটি রাস্তার কলতলায় অবরোধে সামিল হন। তাঁদের অভিযোগ, এই প্রকল্পে প্রায় ১৫০ শ্রমিক তিন মাস কাজের পরেও প্রাপ্য মজুরি পাননি। বহুবার গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিডিওকে জানালেও সুরাহা হয়নি। তার জেরে ক্ষোভে এ দিন অবরোধে সামিল পারুল গিরি, গীতা বাগ, সনাতন দাস, নারায়ণ ধাড়ারা। তাঁদের কথায়, প্রথম সাত দিনের মজুরি পেলেও পরের তিন মাসের মজুরি মেলেনি। ওই বুথের সিপিএম সদস্য চিত্তরঞ্জন দাসের অভিযোগ, “ওই শ্রমিকদের এত দিন ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। অন্য বুথ-এলাকা মাঝে-মধ্যে টাকা পেলেও এই বুথকে তা দেওয়া হয়নি।” এর জেরে পথ অবরোধে এক ঘণ্টারও বেশি হলদিয়া-কুকড়াহাটি শাখায় বাস চলাচল বন্ধ থাকে। বেলা ১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে ভবানীপুর থানার পুলিশ পোঁছে অবরোধ তোলে।
কিন্তু কেন মজুরি দেওয়া হয়নি?
চকদ্বীপার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান রাধা মাইতি বলেন, “একশো দিনের প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। ১ মার্চ ৯ লাখ টাকা পেয়েছিলাম। সেই টাকা শ্রমিকদের দিয়েছি। আরও ৫৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। ১১ মার্চ চিঠি দিয়ে সে কথা বিডিও এবং জেলা পরিষদে জানিয়েছি।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন জানা বলেন, “আমার চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অনেক টাকাই বকেয়া রয়েছে। তাই এই মাসেই ২ কোটি ৪১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা জেলা পরিষদে চেয়েছি।” যদিও ভাঁড়ার যে শূণ্য তা স্বীকার করেছেন বিডিও অশোককুমার রক্ষিত। তিনি বলেন, “আমার কাছে শ্রমিকরা কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। হঠাৎ কেন পথ অবরোধ করলেন জানি না।” প্রসঙ্গত, শুধু হলদিয়া ব্লক নয়, জেলার জুড়েই একশো দিনের প্রকল্পে টাকা নেই। অথচ কাজ হচ্ছে। কিছু দিন আগে মহিষাদলেও একই অভিযোগ তুলেছিল। সমস্যার জন্য কেন্দ্রকে দুষে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “কাজ সর্বত্র হচ্ছে। কেন্দ্রের বঞ্চনাতেই সমস্যা বাড়ছে। কেন্দ্র থেকে ৩০০ কোটি টাকা পেয়েছি। আরও ৮৫ কোটি টাকা পাব। আশা করছি শীঘ্রই সমস্যা মিটবে।” |
|
|
|
|
|