|
|
|
|
এ বার শহরের পরিত্যক্ত পুকুরে মিলল হাড়গোড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গত প্রায় দু’বছরে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে একের পর এক সিপিএম নেতা- কর্মীর। তবে শহরে এমন ঘটনা ঘটেনি। এ বার মেদিনীপুর শহর থেকেও হাড়গোড় উদ্ধার হল। শুক্রবার দুপুরে শহরের মিরবাজার এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে বস্তা মেলে। ওই বস্তার মধ্যে হাড়গোড় ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্যও ছড়ায় এলাকায়। পৌঁছয় পুলিশ। পরে ওই হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে আবার সিপিএম- তৃণমূল চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
হাড়গোড় উদ্ধারের পর। —নিজস্ব চিত্র। |
যে এলাকায় এই পুকুরটি তার অদূরেই রয়েছে সিপিএমের কৃষকসভার জেলা কার্যালয়। সিপিএমের জেলা কার্যালয়ের দূরত্বও খুব বেশি নয়। ফলে, ঘটনা ঘিরে চাপানউতোর অন্য মাত্রায় পৌঁছয়। রাজ্যে পালাবদলের পর প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের আদি বাড়ি বেনাচাপড়ার অদূরে দাসেরবাঁধ থেকে প্রথম মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় উদ্ধার হয়। সঙ্গে জড়িয়ে যায় এক ‘গণহত্যা’র ঘটনা। সেই শুরু। এরপর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের একের পর এক এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় উদ্ধার হয়। এই সব ঘটনার সঙ্গে দলীয় নেতা- কর্মীদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়ে সিপিএম।
শুক্রবারের ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে তৃণমূল। দলের মেদিনীপুর শহর সভাপতি সুকুমার পড়্যা বলেন, “মেদিনীপুর শহর শান্তির শহর। পুকুরে কী ভাবে হাড়গোড় এল, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। আমরা তদন্ত দাবি করছি।” ইঙ্গিত সেই একই। জবাবে সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক কীর্তি দে বক্সী বলেন, “কী বলব? ওদের তো ওই একটাই কাজ। মানুষ সব দেখছেন।” পুলিশ সূত্রে খবর, পরিত্যক্ত পুকুরে এলাকার কয়েকজন ছেলে খেলছিল। তখনই তারা দেখে, একটি বস্তা পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবক আসে। এরপরই হইচই শুরু হয়। পুলিশে এসে পরিস্থিতি দেখে। পরে এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের বক্তব্য, কী ভাবে এই বস্তা এখানে এল, তদন্তে তা দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|