|
|
|
|
দলের বেনোজল তাড়াতে মমতাকে পরামর্শ রাহুলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুরে এসে তৃণমূলের সমালোচনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। তাঁর কটাক্ষ, “ওদের নেত্রীকে বলছি, বেনোজল বিদায় করুণ। না হলে আগামী দিনে তৃণমূলের কার্যকর্তাদের রাখতেই জেলের বেশির ভাগ অংশ ভরে যাবে। এক-একটি ঘটনা ঘটবে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেবেন। আর এক-একজন তৃণমূলের কর্মকর্তা জেলে ঢুকবেন।”
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার মেদিনীপুর শহরে জেলা বিজেপির এক সভা হয়। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি নির্বাচনের প্রস্তুতি সভা। দলের রণকৌশল কী হবে, কী ভাবে প্রার্থী বাছাই হবে, সে সব নিয়েই আলোচনা হয়। শহরের বিদ্যাসাগর হলে এই সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের নেতা- কর্মীরা সভায় এসেছিলেন। পরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের জনসমর্থনে ধস নামছে বলে দাবি করে রাহুলবাবু বলেন, “সিপিএমের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই মানুষ তৃণমূলে আস্থা রেখেছিলেন। তবে এখন সেই মানুষই তৃণমূলের মধ্যে সিপিএমের একটি রুপ দেখতে পাচ্ছে। আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে বুঝতে পারছি, আমাদের সমর্থন বাড়ছে। বহু মানুষ বিজেপির দিকে আসছে।” তাঁর কথায়, “কোনও শরিক দলকে নিয়ে নয়। কোনও জোটে থেকে নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা একাই লড়ব।” পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় কী দল সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে? রাজ্য সভাপতির জবাব, “যত বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়, আমরা সেই চেষ্টাই করছি।” |
|
সভামঞ্চে মধ্যমণি রাহুল। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
শুক্রবারই রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে রাজ্যপালকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার আর্জি জানানো হয়েছে। কেমন? রাহুলবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এই অচলাবস্থা কাটানোর জন্য রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছি। আমরা চাই, উনি কমিশন এবং সরকারের সঙ্গে কথা বলুন।” পাশাপাশি, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে নির্বাচন করানোরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, “বিধানসভা নির্বাচন ৬ দফায় হয়েছিল। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন তো ১০ দফায় হওয়া উচিত। নূন্যতম ৩ দফায় নির্বাচন হলে আমাদের আপত্তি নেই। সঙ্গে আমাদের দাবি, যাঁরা বিডিওর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন না, তাঁরা যেন এসডিও বা ডিএমের কাছে জমা দিতে পারেন।” |
|
|
|
|
|