আলু চাষের জমিতে জারবেরা বুনে লাভের মুখ দেখছেন সুবীর
জারবেরা ফুলের চাষ চাষিদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে হুগলিতেও। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান প্রভৃতি জেলায় লাভজনক এই চাষের কাজে যুক্ত অনেকে। হুগলির হরিপাল, মগরা প্রভৃতি এলাকায় অনেকে এই ফুলের চাষ করছেন।
আদতে ফুলটি নেদারল্যান্ডের। গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গেও এর চাষ শুরু হয়েছে। বিকল্প চাষ হিসাবে যাকে উত্‌সাহ দিচ্ছে উদ্যানপালন দফতরও।
ফুলের খেতে সুবীর। নিজস্ব চিত্র।
হরিপালের ইলিপুরের বাসিন্দা সুবীর কর্মকার নিজেও এই চাষে যুক্ত। তিনি জানালেন, পুণেতে প্রথম এই ফুলের চাষ শুরু হয়েছিল। সেখান থেকেই চারা গাছ আমদানি করতে হয়। একটি গাছের দাম পড়ে ৩৩ টাকা। আনার খরচ গাছ-পিছু ৭ টাকা। এক বার গাছ বসালে কয়েক বছর ধরে ফুল ধরতে থাকে। দেড় টাকা থেকে ৭-৮ টাকায় তা বিক্রি হয়। খোলা বাজারে দাম ১২-১৫ টাকা। হাওড়া জগন্নাথ ঘাট, নিউমার্কেট, শ্যামবাজার, হাতিবাগান, গড়িয়ায় ফুল যায় হরিপাল থেকে। সারা বছর ধরেই এই ফুল ফোটে। এননিতে এই গাছে রোগ-বালাই কম। তবে ঝড়-ঝাপটায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। সুবীরবাবু জানালেন, এখনও এই চাষে বিমার ব্যবস্থা নেই। নেই উপযুক্ত প্রশিক্ষণও। সে সব হলে লাভজনক এই ফুল চাষ করে অনেকে লাভের মুখ দেখবেন বলে তাঁর আশা।
হুগলি জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রের খবর, নতুন গাছ বসানোর মাস তিনেক পর থেকে ফুল ধরতে শুরু করে। একটি কুঁড়ি থেকে ফুল ফুটতে সময় লাগে ১৮ দিন। সুবীরবাবু আড়াই বিঘে জমিতে এই চাষ করেন। আগে সেখানেই আলু চাষ হত। কিন্তু আলুর চাষে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই বেশি বলে জানালেন তিনি। এখন জমি থেকে রোজ গড়ে ৩০০টি ফুল পান সেখান থেকে। শীতকালে সংখ্যাটা আরও বাড়ে। নানা রঙের জারবেরা ফুলের বাজার দিন দিন বাড়ছে বলে জানালেন তিনি। জেলা উদ্যানপালন অধিকর্তা দীপক ঘোষ বলেন, “আলু চাষের জায়গায় জারবেরা চাষ করে নজির তৈরি করেছেন সুবীরবাবু।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.