প্রশাসনের উদ্যোগে খানাকুল-১ ব্লকের পরে এ বার নদীবাঁধের ভাঙন রুখতে ‘ভেটিভার’ ঘাস রোপণ শুরু হল আরামবাগেও। বৃহস্পতিবার মলয়পুর-১ পঞ্চায়েত এলাকার বালিয়া গ্রাম সংলগ্ন মুণ্ডেশ্বরী নদীবাঁধের প্রায় ৯৬০ মিটার এলাকায় ওই ঘাস রোপণের কাজ শুরু হয়। প্রথম দিন কাজের তদারক করেন আরামবাগের বিডিও প্রণব সাঙ্গুই।
বন্যাপ্রবণ আরামবাগ ও খানাকুলে প্রতি বছরই বর্ষায় নদীববাঁধের ভাঙন একটা বড় সমস্যা। গত বছর তত্কালীন মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী, তত্কালীন মহকুমা তথ্য আধিকারিক ভাস্করজ্যোতি বেরা এবং তত্কালীন খানাকুল-১ ব্লকের বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় অসম থেকে ওই ঘাস আনিয়ে উদনায় মুণ্ডেশ্বরী নদীবাঁধে রোপণ করা হয়। তাতে সাফল্য মেলে। বর্ষায় উদনায় নদীবাঁধ ভাঙেনি। বালিয়াতেও প্রতি বছর বাঁধ ভাঙে। গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, বোল্ডার দিয়ে বাঁধ মেরামতির স্থায়ী সমাধানের। এ বার ‘ভেটিভার’-এর চাষের সূচনা করে সেই বাঁধ রক্ষার প্রচেষ্টাই শুরু হল সরকারি ভাবে।
মহকুমাশাসক অরিন্দম রায় বলেন, “১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ওই ঘাস রোপণ করা হচ্ছে। নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে ওই ঘাস বিশেষ উপযোগী বলে প্রমাণিত হয়েছে। দফায় দফায় মহকুমার সব নদীবাঁধেই ওই ঘাসের চাষ হবে। ওই ঘাস সহজে নষ্ট হয় না।” ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ৫০০ মিটার নদীবাঁধ বোল্ডার দিয়ে বাঁধাই করতে গেলে নূন্যতম খরচ হয় ২৫ লক্ষ টাকা। সেখানে ওই একই জায়গায় ভেটিভার ঘাস রোপণে শ্রমিক-সহ খরচ আট লক্ষ টাকারও কম। |