|
|
|
|
পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ‘ত্রুটি’
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাণিজ্যিক উৎপাদন অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে গেল। এত দিন আইনি জটিলতার কারণে পুরোদমে উৎপাদন শুরু করা যাচ্ছিল না। আইনি জটিলতার নাগপাশ থেকে মুক্তি পেলেও, প্রকল্পে এ বার বড় ধরনের কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়েছে। ফলে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস-ভিত্তিক এই প্রকল্পের বিদ্যুৎ উৎপাদন এখন অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। নির্ধারিত সময়ে যে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব নয়, তা মেনে নিয়েছেন ওটিপিসিএলের এমডি এস কে দুবে। ‘ট্রায়াল রান’-এর সময়ে ধরা পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’। দিল্লি থেকে ওটিপিসিএলের এমডি বলেন, ‘‘ট্রায়াল রানের সময়ে ব্যবহৃত কিছু যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে ‘মিস ম্যাচিং’ ধরা পড়েছে, তাই বাণিজ্যিক উৎপাদন এ মাসেই আর চালু করা সম্ভব নয়।’’ এটা যে ‘নাশকতামূলক’ কোনও কাজ নয়, সেটাও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ওএনজিসি এবং ত্রিপুরা পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে ওটিপিসিএল তৈরি করা হয়। ওটিপিসিএল-ই রাজ্যের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করেছে। কারিগরি সহায়তায় নেওয়া হয়েছে ভেলের কাছ থেকে। প্রথম ইউনিটটি তৈরি হওয়ার পর বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। সেই উদ্দেশে মার্চেই প্রকল্পের ‘ট্রায়াল রান’ শুরু হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং পরিবহণের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে বিভিন্ন কারিগরী পর্যায়ের নির্বিঘ্নে উত্তরণের পর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কথা ছিস।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ‘ট্রায়াল রানের’ সময়ে প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের (৩৬৩ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পরিবাহী তারের মাধ্যমে অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎবাহী তারের মাধ্যমে পালাটানা থেকে অন্যত্র পাঠাতে গিয়ে বিদ্যুৎ-পরিবাহী তামার ‘ইনস্যুলেটড’ তারগুলি পুড়ে যায়। দেখা দেয় বিদ্যুৎ পরিবহণের ক্ষেত্রে যান্ত্রিক ত্রুটি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘ট্রায়াল রান’-ও। এস কে দুবে বলেন, ‘‘উৎপাদনের দিনক্ষণ এখনই আর বলা যাচ্ছে না। ভেল-এর কারিগরি সহায়তায় যেহেতু প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা প্রয়োজনীয় নতুন যন্ত্রপাতি পালাটানায় নিয়ে এসে যান্ত্রিক গোলযোগ, ত্রুটিবিচ্যুতি দূর করে উৎপাদন শুরু করা হবে।’’ নতুন যন্ত্রপাতিগুলি আসছে তিরুচিরাপল্লি থেকে। এমডি বলেন, ‘‘প্রকল্পটি রূপায়ণে ভেল যে কারিগরি ডিজাইন করেছে তা যথেষ্ট উচ্চমানের। ওটিপিসিএল বাইরের বিশেষজ্ঞ দিয়ে তা যাচাই করেছে। প্রত্যেকেই সন্তুষ্ট। ফলে ডিজাইনের ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি নেই।” |
|
|
|
|
|