বিধবা মা-কে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে ধৃত নিহতের ছেলে মৃণ্ময় চৌধুরী ও পুত্রবধূ স্বরূপা চৌধুরীর জামিনের আেবেদন ফের নাকচ করল বোলপুর আদালত। শুক্রবার বোলপুরের এসিজেএম পীযূষ ঘোষ ধৃতদের ফের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, “বিচারক ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় ধৃত স্বামী-স্ত্রীকে আগামী ৫ এপ্রিল ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও পুলিশকে ৫ এপ্রিলের মধ্যেই আদালতে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে বলেছেন বিচারক পীযূষ ঘোষ।” এ দিনও তাঁর দুই মক্কেলকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে বিচারকের কাছে দম্পতির জামিনের আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবী উদয়কুমার গড়াই। আদালত অবশ্য তদন্তের খাতিরে সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
বোলপুরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হরগৌরীতলা এলাকার বাসিন্দা সুনন্দা চৌধুরীকে (৫৫) গত ৮ মার্চ রাত বারোটা নাগাদ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন তাঁর প্রতিবেশীরা। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে সামান্য পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। োই ঘটনায় মা-কে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল নিহতের ছেলে, পেশায় স্কুলশিক্ষক মৃণ্ময় চৌধুরী ও পুত্রবধূ স্বরূপা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে স্বরূপাদেবীর বাবা-মার বিরুদ্ধেও। ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নিহতের ভাই তুষারকান্তি সাঁতরা। পরের দিনই ওই চৌধুরী দম্পতিকে গ্রেফতার করে বোলপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত সুনন্দাদেবীর সঙ্গে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূর বনিবনা হত না।
বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে নির্মিত বাড়িগুলির একাংশ ভেঙে পড়ছে। অবিলম্বে ওই বাড়িগুলি সংস্কারের দাবিতে গত সোমবার রামপুরহাট পুরসভার পুরপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ। পুরপ্রধান অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, “বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে তিন বছর আগে নির্মিত ওই ঘরগুলি কিভাবে কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |