বহিষ্কৃত নেতাকে ফিরিয়ে এনে ঘর গোছাচ্ছে তৃণমূল
ঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই দলছুট নেতা -কর্মীদের ফেরানোর কথা বলেছিলেন দলনেত্রী। কয়েক দিনের মধ্যেই গুসকরার পুরপ্রধান, বহিষ্কৃত নেতা চঞ্চল গড়াইকে দলে ফেরাল তৃণমূল।
দুর্নীতি, স্বজনপোষণ দলবিরোধী কাজকর্মের অভিযোগে বছর দেড়েক আগে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও তিনি পুরপ্রধান পদে ছিলেন। শুক্রবার চঞ্চলবাবু বলেন, “গত কাল কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেখানেই আমাকে দলে ফেরানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।’’ মলয়বাবুর বক্তব্য, “চঞ্চলের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ মিলেছিল। তার ভিত্তিতে তাঁকে সরানো হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল, তিনি পুরসভা ঠিক মতো চালিয়ে গিয়েছেন। অন্য কোনও দলে যোগ দেননি। বরং আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। দলের প্রতি এই আনুগত্য দেখেই তাঁকে ফেরানো হয়েছে।”

দলে ফেরায় মিষ্টিমুখ।—নিজস্ব চিত্র।
গত পুরসভা নির্বাচনে সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি গুসকরায় ১৫টি আসনের মধ্যে ৮টিতে জেতে তৃণমূল। সিপিএম পায় পাঁচটি আসন। বাকি দু’টি দখল করে বিজেপি। এই জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন চঞ্চলবাবু। কিন্তু পরে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের তৎকালীন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দলের বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা আউশগ্রামের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। চঞ্চলবাবুকে পুরপ্রধানের পদ থেকেও অপসারণের দাবি তুলেছিল তৃণমূলের একাংশ। কিন্তু দলের অন্য একটি বড় অংশের সমর্থন তাঁর সঙ্গে থাকায় চঞ্চলবাবুকে পদ থেকে সরানো হয়নি। পরের দিকে বেশ কিছু স্কুলের পরিচালন সমিতির ভোটে চঞ্চলবাবুর অনুগামীদের কাছে হেরে যান বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন।
শুক্রবার সকালে চঞ্চলবাবুকে দলে ফেরানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গুসকরায় চঞ্চলবাবুর অনুগামীদের উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। এমনই এক তৃণমূল কর্মী পার্থ হাজরা বলেন, “গুসকরায় চঞ্চলদাকে বাদ দিয়ে যে চলবে না, দল তা ঠিক সময়ে বোঝায় আমরা খুশি।” সদ্য হৃদরোগ থেকে সেরে ওঠা চঞ্চলবাবুও খুশি। তাঁকে দিন মিষ্টিমুখ করান দলের কর্মীরা।
এক সময়ে পুরপ্রধানের পদ থেকে চঞ্চলবাবুকে সরানোর দাবিতে বারবার মিছিল করতে দেখা গিয়েছিল গুসকরা শহর তৃণমূলের সভাপতি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে। দিন অবশ্য তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তে আমিও খুশি। সবার উপরে দল। উনি যদি দলের কাজ ঠিক মতো করেন, তা হলেই কোনও চিন্তা থাকে না। পঞ্চায়েত পুরসভায় তৃণমূলের জয় ছাড়া আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না।” চঞ্চলবাবু বলেন, “আমি নিজেকে কোনও দিনই দলের বাইরে ভাবিনি। তাই এই খবরে আমার আলাদা কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.