বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীরা। বৃহস্পতিবার ১২টা নাগাদ রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। আধ ঘন্টা বিক্ষোভের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি ঠিক হয়। রোগীর অভিযোগ, চিকিৎসকের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে সঠিক সময়ে বর্হিবিভাগে আসছেন না। এ দিনও দুই চিকিৎসক প্রায় তিন ঘন্টা দেরিতে আসেন। তাঁদের হেনস্থা হতে হচ্ছে। হাসপাতালের সহকারি সুপার গৌতম দাস বলেন, “রোগীদের অভিযোগ পেয়েছি। চিকিৎসকদের সঠিক সময়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯ টার মধ্যে চিকিৎসকদের বর্হিবিভাগে আসার নির্দেশ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে সকাল ১০টা’র মধ্যে এসএমএস করে চিকিৎসকদের হাজিরার রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়ে দেওয়ার কথা। এদিন জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে দেখাতে ৩০০ জনের মত রোগী আসেন। অভিযোগ, বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত প্রসূতি, জেনারেল মেডিসিন বিভাগে দুই চিকিৎসক বহির্বিভাগে আসেননি। ওই দুই বিভাগের সামনে শ’খানেক রোগী বিক্ষোভ শুরু করেন। আধঘন্টা পর তাঁরা আসেন। কালিয়াগঞ্জের মহম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে বুকে ব্যাথা হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর চিকিৎসক এলেন। ওঁরা ঠিক সময়ে বর্হিবিভাগে এলে হয়রান হতে হয় না।” তাঁর দাবি, কয়েকদিন আগেও বর্হিবিভাগে দুই ঘন্টা অপেক্ষা করে চিকিৎসককে না পেয়ে ফিরে যাই। ইটাহার ব্লকের গুলন্দর এলাকার বাসিন্দা প্রসুতি ফতেমা বিবি প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসককে দেখাতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “সকাল ১০টা থেকে অপেক্ষা করেছি। সাড়ে ১২ টায় চিকিৎসক আসলেন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ বোধ করি।” |