জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার সর্দারপাড়া গ্রামে যে ৫১ টি শাল গাছ কাটা হয়েছে তা ফরেষ্ট রেঞ্জ অফিসার নিলাম করে বিক্রি করবে। বিক্রির টাকা জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিষ্টার জেনারেলের কাছে। মামলা না মেটা পর্যন্ত ওই জাতীয় ব্যাঙ্কের মেয়াদি আমানতে জমা থাকবে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এ নির্দেশ দেন। নরেন্দ্রনাথ রায় নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বলেন, তিনি মহকুমা ভূমি আধিকারিকের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজনে গাছগুলি কেটেছেন। কিন্তু একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় পুলিশ তাঁকে গেরফতার করার চেষ্টা করছে। পুলিশের অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেন তিনি। সরকারপক্ষ আইনজীবী সুশোভন সেনগুপ্ত হাইকোর্টে বলেন, ওই জমি নরেনবাবুর নয়। জমিটি খাস জমি। মহকুমা ভূমি আধিকারিক সহ বন দফতরের কিছু মানুষ পরিকল্পনা করে গাছগুলি কাটে। এসডিএলআরও এই গাছ কাটার পক্ষে সুপারিশ করেছে। গাছগুলির বয়স একশর বেশি। বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। একটি চক্র এইভাবে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের পরিকল্পনা করেছিল। বিচারপতি জানিয়ে দেন এই মামলা চলবে। এই মামলার জন্য ফৌজদারি মামলা বন্ধ হবে না। ফৌজদারি মামলা চলবে যেমন চলছে। সুশোভনবাবু জানান রাজ্য আইনি পথে মহকুমা ভূমি আধিকারিক ও বন দফতরের যে সব কর্মী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
|
বাঁকুড়া (উত্তর) বন বিভাগের মুকুটে নতুন পালক। সম্প্রতি তারা ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর পক্ষ থেকে আইএসও শংসাপত্র পেয়েছে। বাঁকুড়া (উত্তর) বন বিভাগের ডিএফও কুনাল ডেইভাল বলেন, “বনসৃজনের ক্ষেত্রে বড় অবদানের জন্য আমরা আইএসও-র সম্মান পেলাম। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে আমাদের খুবই ভাল লাগছে।” বৃহস্পতিবার, বিশ্ব বন দিবসে এই স্বীকৃতিপ্রাপ্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান হয় বন বিভাগের অফিসে। আর এ দিনই সকালে ওই বন বিভাগের এক জঙ্গল থেকে গাছ পাচারকারীদের হাতে কাটা পড়ল প্রাচীন একটি শাল গাছ। যদিও বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা তৎপর থাকায় শেষ পর্যন্ত কাটা গাছ নিয়ে যেতে পারেনি পাচারকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ওই বন বিভাগের রাধানগর রেঞ্জের বনগ্রাম এলাকায়। স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটির সম্পাদক ফেলু রায় বলেন, “গাছ কাটা হচ্ছে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমরা যাই। তবে সেখানে আমরা পৌঁছনোর আগেই কাটা গাছটি ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। ওই গাছটি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” ডিএফও বলেন, “এই ঘটনার কথা আমাকে কেউ জানায়নি। কারা এই ঘটনায় যুক্ত বনরক্ষীদের দেখতে বলেছি।”
|
বেআইনি ভাবে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠল বাদুড়িয়া থানার যদুরআটি গ্রামে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসীরা বিডিও, পুলিশ, বন দফতর-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামে বাদুড়িয়া-বেড়াচাঁপা রাস্তার ধারে একটি কৃষ্ণচুড়া গাছ রয়েছে।সম্প্রতি ওই গাছটি কাটতে শুরু করে কয়েকজন। গ্রামবাসীরা বাধা দেওয়ার আগেই অনেকটা অংশই কেটে ফেলে তারা। খবর পেয়ে বন দফতরের লোকজন গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই গাছটি কাটার জন্য তাঁদের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সবকিছু খতিয়ে দেখে অনুমতি দেওয়ার আগেই গাছ কাটা শুরু হয়ে যায়। পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা। ১০০ দিনের কাজের মজুরি না দেওয়ার অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে পঞ্চায়েতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার যদুরআটি উত্তর পঞ্চায়েত দফতরে কর্মীদের ভিতরে রেখে বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে দেন গ্রামের মানুষ। পরে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে কর্মীদের উদ্ধার করে। ওই ঘটনার পর থেকেই পঞ্চায়েত দফতর বন্ধ রাখা হয়েছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। দফতর বন্ধ থাকায় কোনও পরিষেবাই পাচ্ছেন না গ্রামের মানুষ। বাদুড়িয়ার বিডিও তারক মণ্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ওই ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
|