সঞ্জয়কে ক্ষমার আবেদন কাটজুর
সঞ্জয় দত্তকে ক্ষমা করা ও তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল কে শঙ্করনারায়ণনের কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন করলেন প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চিফ জাস্টিস মার্কণ্ডেয় কাটজু। বৃহস্পতিবার মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় শীর্ষ আদালত সঞ্জয় দত্তের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি বহাল রাখার নির্দেশ দেয়। এ দিন এএক বিবৃতিতে কাটজু জানান, বিস্ফোরণে ভূমিকা থাকার অপরাধে সঞ্জয় দোষী নন এবং তিনি ইতিমধ্যেই যথেষ্ট শাস্তি পেয়েছেন। কাটজু জানান, সংবিধানের ১৬১ ধারা অনুযায়ী রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি অপরাধীকে ক্ষমা বা আদালতের শাস্তি কমাতে পারেন। তিনি আরও জানান, তাঁর ‘মুন্নাভাই’ সিরিজের ছবিতে গাঁধীগিরির কথা রয়েছে, যা জাতির জনক মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর বার্তার স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।

খুশি নিকম
শীর্ষ আদালতের রায়ে খুশি সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকম। যদিও দশ জনের শাস্তি কমেছে, কিন্তু ইয়াকুব মেমনের প্রাণদণ্ড বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিকম। বললেন, “ইয়াকুবের মৃত্যুদণ্ড পাকিস্তানকে চাপে ফেলবে। এ বার টাইগার আর দাউদকে আশ্রয় দেওয়া মুশকিল হবে ওদের পক্ষে।”

আরডিএক্স
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ’৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণ। এত বেশি আরডিএক্সের ব্যবহার এর মধ্যে আর দেখা যায়নি। ভারতে তার আগে কখনও আরডিএক্স ব্যবহারও হয়নি। বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে।

ফাঁকি নেই আইনে
তারকা হলে কী হবে, আইন আইনই। বলছেন রাজনীতির কারবারিরা। আরজেডি নেতা রঘুবংশ প্রসাদ বলেন, অভিনেতা হিসেবে সঞ্জয় দত্তের উপর সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু আইন আইনের পথেই চলে। শিবসেনার সঞ্জয় রাউত বললেন, এটা শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত। সঞ্জয় দত্ত হোন বা যে কেউ, আইনের চোখে সবাই সমান।

আক্রান্ত এখনও
শুধু শাস্তি দিয়ে কী হবে, সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াক। এমনটাই মনে করছেন কীর্তি আজমেরা। মুম্বই বিস্ফোরণে আহত হন কীর্তি। বলেন, “২০ বছরে ৪০টি অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখনও কিছু কাচ রয়েছে শরীরের ভিতরে। আমাদের জন্য সরকার কিছু করলে শান্তি পাব।”


১২ মার্চ, ১৯৯৩
মুম্বইয়ে (তখন বম্বে) ১২টি বিস্ফোরণ,
নিহত ২৫৭, আহত ৭১৩
৪ নভেম্বর, ১৯৯৩
প্রাথমিক চার্জশিট, অভিযুক্ত ১২৩ (১১ জন মৃত),
১৩ হাজার পাতার জবানবন্দি ও তথ্য
১৯ এপ্রিল, ১৯৯৫
টাডা আদালতে বিচার শুরু
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৬: রায়দান শুরু, দোষী ১০০
৩১ জুলাই, ২০০৭: শাস্তি ঘোষণা শেষ, ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২০
জনের যাবজ্জীবন, বাকিদের জেল
২১ মার্চ, ২০১৩: শুধু ইয়াকুব মেমনকে মৃত্যুদণ্ড সুপ্রিম
কোর্টের, যাবজ্জীবন ২৭ জনের

জেল থেকে জেলে
১৯ এপ্রিল, ১৯৯৩ বেআইনি অস্ত্র রাখা ও লোপাটের দায়ে গ্রেফতার
৫ মে, ১৯৯৩ বম্বে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী জামিন
৪ জুলাই, ১৯৯৪ টাডা আদালতে জামিন নাকচ, ঠাঁই ঠানে সেন্ট্রাল জেলে
১৬ অক্টোবর, ১৯৯৫ সুপ্রিম কোর্টে জামিন মঞ্জুর
১৭ অক্টোবর, ১৯৯৫ ১৬ মাস কারাবাসের পরে মুক্তি
২৮ নভেম্বর, ২০০৬ বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই,
অস্ত্র আইনে দোষী টাডা আদালতে
৩১ জুলাই, ২০০৭ ৬ বছরের কারাদণ্ড, পাঠানো হল মুম্বইয়ের
আর্থার রোড জেলে
২ অগস্ট, ২০০৭ সরানো হল পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে
৮ অগস্ট, ২০০৭ সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আর্জি
২১ অগস্ট, ২০০৭ রায়ের কপি না পাওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর
২৩ অগস্ট, ২০০৭ ইয়েরওয়াড়া থেকে মুক্তি, ফিরলেন বাড়ি
২২ অক্টোবর, ২০০৭ রায়ের কপি দিল টাডা আদালত, ফের ইয়েরওয়াড়া জেলে
২৭ নভেম্বর, ২০০৭ জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট
৩০ নভেম্বর, ২০০৭ জেল থেকে মুক্তি
৯ জানুয়ারি, ২০০৯ লখনউ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করল সপা
৩১ মার্চ, ২০০৯ ভোটে লড়তে দিল না সুপ্রিম কোর্ট
২১ মার্চ, ২০১৩ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কারাদণ্ড কমে ৫ বছর,
৪ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.