ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক হারে জাল নোট ছড়িয়ে পড়ার কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তাদের সামনে তুলে ধরলেন ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। বুধবার ইসলামপুর মহকুমার কানকি এলাকায় ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের অভিযোগ ও প্রতিকার নিয়ে একটি আলোচনা সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আধিকারিক সুশান্ত কুমার দাস সহ নানা ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা। সেখানে ব্যবসায়ীরা সীমান্ত এলাকায় জাল নোটের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সোমবার ডালখোলা, মঙ্গলবার ইসলামপুর শহরের জৈন ভবনে আয়োজিত সভাতেও একই অভিযোগ ওঠে। বাসিন্দা-ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা অস্বীকার করেননি। তাঁরা জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মালদা, মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকায় জাল নোটের কারবার চক্র বেশি সক্রিয়। ওই সমস্ত সীমান্ত এলাকায় জাল নোট রুখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ইস্যু বিভাগ শিবির করে বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজ করছে। প্রয়োজনে সীমান্তের সব জেলায় ওই শিবির করা হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কলকাতার অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত কুমার দাস বলেন, “জাল টাকা রুখতে এ দেশে প্লাস্টিকের টাকা চালু করার কথা ভাবা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে নিরক্ষররাও যেন জাল নোট চিনতে পারে সে ভাবে সচেতন করতে।” ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল জানান, ইসলামপুর মহকুমায় পুলিশ সক্রিয়। সম্প্রতি দাড়িভিটায় গ্রাহক সেজে এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে জাল টাকা সহ গ্রেফতার করা হয়। |