নলকূপ বসানো নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কংগ্রেস প্রধানকে গ্রেফতারের দাবিতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের কংগ্রেস পরিচালিত দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটনাটি ঘটছে। প্রায় তিন ঘন্টা তালাবন্দি থাকার পরে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ও পুলিশ পৌঁছে তালা খুলে পঞ্চায়েত কর্মীদের উদ্ধার করে। তার পরেও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা বিডিও ও প্রধানকে ঘেরাও করে ফের বিক্ষোভ দেখান। দেবীপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বাতাসি মণ্ডল প্রথমে বলেন, “সব নলকূপ বিলি হয়েছে। প্রাপকরা নলকূপ না-বসালে কি করতে পারি?” পরে অবশ্য তিনি লোক পাঠিয়ে গ্রামের নানা এলাকা থেকে ২৪ জন প্রাপকের থেকে নলকূপ ফেরত নেন। প্রধান বলেন, “বিডিও তদন্ত করে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।
রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ফজলুল রহমানের অভিযোগ, ৬২ টি নলকূপ বসানোর হিসেব রয়েছে। পঞ্চায়েতের গুদামে ১ টি নলকূপ রয়েছে। বাকি ৬১ টি নলকূপ খাতায়-কলমে বিলি হয়ে গিয়েছে বলে পঞ্চায়েতের খাতায় উল্লেখ রয়েছে। অথচ এলাকায় একটিও নলকূপ বসানো হয়নি।” নলকূপ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে প্রশাসনিক তদন্ত শুরুর দাবিতে আন্দোলন চলবে বলে তিনি জানান।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র রায়ের দাবি, “তৃণমূল কংগ্রেসের উচ্ছৃঙ্খল কিছু কর্মী গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা দেন। তৃণমূল কংগ্রেস মুখে উন্নয়নের কথা বললেও তারা যে গ্রামবাংলার উন্নয়ন চায় না তা পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলানোয় ফের স্পষ্ট হল।’’ এলাকার বিডিও নীলাঞ্জন সরকার অবশ্য জানিয়েছেন, নলকূপ বিলিতে দুর্নীতি ধরা পড়লে থানায় অভিযোগ জানানো হবে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় পানীয় জলের কষ্ট মেটাতে আট মাস আগে দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকায় ৬২ টি নলকূপ কেনা হয়। কয়েকদিন আগে স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারেন, সব নলকূপ বিলি হয়ে গিয়েছে। জানাজানি হতেই দেবীপুর এলাকার বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরেই রতুয়া ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ফজলুল রহমানের নেতৃত্বে কয়েকশো তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক গ্রামবাসীদের নিয়ে দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর পরে পঞ্চায়েত অফিসের গেটে তালা ঝোলানো হয়। |