পঞ্চায়েত ভোটে আসন বণ্টন নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে ফ্রন্টের দুই প্রধান শরিক সিপিএম-আরএসপি ঐকমত্যে পৌঁছতে পারল না। গত মঙ্গলবার বালুরঘাটে সিপিএমের জেলা কার্যালয় যামিনী মজুমদার ভবনে গভীর রাত পর্যন্ত চলা ফ্রন্টের বৈঠকেও রফাসূত্র বার হয়নি। জেলা ফ্রন্ট কমিটি থেকে দূরে রাখা ফরওয়ার্ড ব্লককে সামিল করার প্রশ্নেও অস্বস্তিতে বেড়েছে ফ্রন্টে। ফ্রন্ট সূত্রের খবর। ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতা নরেন দে বালুরঘাটে এসে বিষয়টি জেলার বাম নেতৃত্বের কাছে জানতে চান আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরীর সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।
বৈঠকে সিপিআই উপস্থিত থাকলেও ফরওয়ার্ড ব্লককে ডাকা হয়নি। গত ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় সিপিএম এবং আরএসপি আলাদা লড়েছিল। ভোট ভাগাভাগিতে তৃণমূল জিতে যায়। দ্বিতীয় স্থান পায় সিপিএম। কিন্তু সাংগঠনিক শক্তিতে এগিয়ে এই নিরিখে আসনগুলি আরএসপি দাবি করে। একই তথ্য সামনে রেখে সিপিএম আরএসপি’র এলাকায় আসন দাবি করেছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী অবশ্য সাংবাদিকদের বলেন, “আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। কিছু আসন নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তা আলোচনায় মিটে যাবে।” ফরওয়ার্ড ব্লক জেলা নেতৃত্বকে ফ্রন্টের বৈঠকে ডাকা নিয়ে সমস্যা আছে বলে তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গিয়েছেন। সিপিএম সূত্রে খবর, ফব-র জেলা সম্পাদককে নিয়ে নানা বিতর্কের জেরে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, “সভায় আলোচ্য বিষয়গুলি লোকাল স্তরে আলোচনার জন্য পাঠিয়ে মত নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বামফ্রন্টগতভাবে পঞ্চায়েতে লড়াই হবে। আসন বণ্টন নিয়ে সমস্যাগুলি মেটাতে আগামী ২৩ মার্চ ফের বামফ্রন্টের বৈঠক হবে। ফব নেতা নরেনবাবুকে সব জানানো হয়েছে।”
ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতৃত্ব নিয়ে সিপিএম এবং আরএসপির আপত্তিতে জেলায় বামফ্রন্ট কমিটিতে ফরওয়ার্ড ব্লককে নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, জেলা ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদককে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের রাজ্য নেতা তথা প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী নরেন দে বালুরঘাটে দু’দফায় সভা করেন। তিনি বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বামফ্রন্টে ফরওয়ার্ড ব্লককে সামিল করার প্রশ্নে দলের জেলা সম্পাদকের প্রতি অনীহা নিয়ে সিপিএম-আরএসপির আপত্তি মানা যায় না। বিষয়টি রাজ্য বামফ্রন্টে তোলা হবে।” |