একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর অ্যাডমিট কার্ড আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার সেবক রোডের দুই মাইলে মেয়েদের ওই স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। পুরসভার কাউন্সিলর অরিন্দম মিত্রর মেয়েও ওই স্কুলের ছাত্রী। অরিন্দমবাবু, কমলেন্দু সরকারের মতো অভিভাবকদের একাংশ এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেন। অভিভাবক মঞ্চের তরফে মহকুমাশাসক এবং পরে জলপাইগুড়ি জেলাশাসককে অভিযোগ জানানো হয়। অভিভাবকদের অসন্তোষের অভিযোগ পেয়ে মহকুমাশাসক রচনা ভগত এক আধিকারিককে পাঠিয়ে ছিলেন। তার আগেই অবশ্য অভিভাবকদের ক্ষোভের বিষয়টি আঁচ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ অ্যাডমিট কার্ড ফেরৎ দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মহকুমাশাসক বলেন, “ওই স্কুল জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনের মধ্যে পড়ে। সে কারণে আমাদের তরফে কিছু করার ছিল না। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছিল।”
অভিভাবকদের অভিযোগ, অ্যাডমিট কার্ড আটকে রেখে ছাত্রীদের ওই স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছিলেন কর্তৃপক্ষ। এ ভাবে চাপ দেওয়া অনৈতিক। তা ছাড়া ওই স্কুলে বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার সুযোগ থাকলেও কলাবিভাগের পড়াশোনা হয় না। তাই কলা বিভাগে উৎসাহী ছাত্রীদের অন্য স্কুলে ভর্তি হতে হবে। সে ক্ষেত্রে অ্যাডমিট কার্ড দরকার পড়লে তারা বিপাকে পড়তে পারেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন ফল প্রকাশের সময় নতুন শ্রেণিতে ভর্তির ফর্ম এবং অ্যাডমিট কার্ড এক সঙ্গে দেবেন। অভিভাবকদের দাবি, যাদের মেয়েরা স্কুলে ভর্তি হবেন না তাদের ফর্ম কেনার প্রয়োজন নেই। অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষ সকল ছাত্রীকে ফর্ম বাধ্যতামূলক ভাবে কেনাতে চাইছিলেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়। অভিভাবকরা নাম লিখে অ্যাডমিট কার্ড ফেরৎ নিয়ে গিয়েছেন। অভিভাবকদের একাংশের আশঙ্কা, অ্যাডমিট কার্ড ফেরত দিতে অভিভাবক এবং ছাত্রীদের নাম লিখে দিতে হয়েছে। তাতে স্কুলের তরফে ছাত্রীদের সারা বছর ‘পারফরম্যান্স’-এর উপর যে নম্বর দেওয়া হয় তা কমানো হতে পারে। বিশেষ করে যে অভিভাবকরা ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তেমন হলে তাঁরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাবেন। |