|
|
|
|
জঙ্গলমহলের উন্নয়ন নিয়ে তরজা কংগ্রেস-তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জঙ্গলমহল-সহ রাজ্যের অনগ্রসর এলাকার উন্নয়নে কে বেশি আন্তরিক, তা নিয়ে ফের পারস্পরিক দোষারোপে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল এবং কংগ্রেস।
বিধানসভার প্রেস কর্নারে বুধবার কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া অভিযোগ করলেন, জঙ্গলমহল-সহ অনগ্রসর এলাকাগুলিতে উন্নয়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রের বরাদ্দ চাল এবং গম রাজ্য পুরোপুরি সংগ্রহই করেনি। অথচ, তারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলছে। পক্ষান্তরে, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, রাজ্য এ বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রের বরাদ্দ চালের ৭৬.৮১% এবং গমের ৮০.৪৪% সংগ্রহ করেছে। ৩১ মার্চের মধ্যে বাকিটাও তোলা হবে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র আগামী বছর অতিরিক্ত বরাদ্দ দিতে চাইছে না। মন্ত্রীর কথায়, “গত ১৫ বছর তো কখনও অতিরিক্ত বরাদ্দ বন্ধ হয়নি! এ বার তা বন্ধ করার পিছনে কোনও অভিসন্ধি থাকতে পারে।” তাঁর আশঙ্কা, “চাল বন্ধ হলে জঙ্গলমহল ফের অশান্ত হবে। যাতে হয়, সে জন্যই হয়তো ওই সিদ্ধান্ত!”
তবে ওই ধরনের কোনও অভিসন্ধি সফল হবে না বলেও মন্ত্রীর দাবি।
তাঁর ব্যাখ্যা, রাজ্যের অতিরিক্ত বরাদ্দ বন্ধ না করার আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলের সমস্ত মানুষকে চাল, গম দিচ্ছেন। আগের বার তালিকায় নাম ওঠেনি, এমন আরও ৮০ হাজার জনকে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত বরাদ্দ বন্ধ হলেও আমাদের প্রকল্প চালু রাখতেই হবে।” সে ক্ষেত্রে ৪৬ কোটি টাকা জোগাড়ের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে খাদ্যমন্ত্রীর। তবে মানসবাবুর পাল্টা পরিসংখ্যান, এ বছর ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্র রাজ্যের জন্য এক লক্ষ ১৯ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন চাল এবং এক লক্ষ ৫৯ হাজার ১৮৪ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ করেছিল। রাজ্য তুলেছে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৫৫৭ এবং এক লক্ষ ২৬ হাজার ৩০৬ মেট্রিক টন। এই প্রেক্ষিতে মানসবাবু রাজ্যের বিভিন্ন অনুন্নত এলাকায় চালু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ফিরিস্তি দিয়ে বলেন, “এর পরেও বলবেন, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না! এ হল গোয়েবেলসীয় মিথ্যে! সিপিএমের কায়দায় কেন্দ্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা। পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র বিরোধী জিগির তোলা হচ্ছে।” জঙ্গলমহলের উন্নয়নে কেন্দ্র এবং রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করেন মানসবাবু। বাম জমানার ত্রুটিপূর্ণ বিপিএল তালিকা কেন তৃণমূল সরকার শুধরোতে পারল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। |
|
|
|
|
|