|
|
|
|
অটোচালকদের সঙ্গে নিয়েই আন্দোলন চায় ট্যাক্সি ইউনিয়ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অটো ইউনিয়নগুলিকে সঙ্গে নিয়েই অটোয় মিটার বসানোর বিরুদ্ধে ট্যাক্সি ইউনিয়নগুলি আন্দোলনে নামতে চায়। এ ব্যাপারে প্রাথমিক ভাবে সায় রয়েছে অটো ইউনিয়নগুলিরও।
বুধবার ট্যাক্সির মালিক ও চালকদের বিভিন্ন সংগঠনের ডাকে একটি কনভেনশনে বেঙ্গল ট্যাক্সি ইউনিয়নের নেতা বিমল গুহ বলেন, “অটোয় মিটার বসলে ট্যাক্সির তো ক্ষতি হবেই। ক্ষতি হবে অটোর মালিক এবং যাত্রীদেরও। লাভ হবে একমাত্র মিটার তৈরি করে এমন সংস্থাগুলির। সেই কারণে, এই লড়াইয়ে আমরা অটো ইউনিয়নগুলিকেও পাশে পেতে চাইছি। পাশে চাইছি যাত্রীদেরও।” তবে সরকার কী পদক্ষেপ করে, তা দেখে নিয়েই তাঁরা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিমলবাবুরা। |
|
বিমলবাবুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর অটো ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষও। তাঁর কথায়, “ট্যাক্সি ইউনিয়নগুলির কাছে আমাদের একই প্রস্তাব ছিল। আমরাও যৌথ ভাবে বিষয়টি নিয়ে এগোতে চাইছি। ওঁরা যদি তাতে রাজি থাকেন, তা হলে একসঙ্গেই যা করার করব।” তবে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিধানসভা চলছে। তাই অটো ইউনিয়নগুলির সঙ্গে বসা হয়ে ওঠেনি। বিভিন্ন ইউনিয়নের সঙ্গে বসার পরেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব। তখনই কাউকে সমর্থন করা বা না-করার বিষয়টি নিয়েও ভাবনাচিন্তা করব।” কলকাতা হাইকোর্ট গত ৮ মার্চ জানিয়েছে, মিটার ছাড়া রাজ্যের কোথাও অটো চালানো যাবে না। অটোর ভাড়া বেঁধে দিতে হবে রাজ্যকেই। তার পরে দু’সপ্তাহ কাটলেও অটো নিয়ে কী করবে, তা নিয়ে অথৈ জলে রাজ্য সরকার। এ দিন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “হাইকোর্টের রায় তো অমান্য করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা আলোচনা চালাচ্ছি। তবে হাইকোর্টের রায় এখনও হাতে পাইনি। হাতে পেলে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসব।” তবে পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, “হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সব অটোয় মিটার বসাতে হবে। এর মধ্যে দু’সপ্তাহ তো কেটেই গেল। বাকি ছ’সপ্তাহের মধ্যে সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অটোয় মিটার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করা কার্যত অসম্ভব।” |
|
|
|
|
|