টুকরো খবর
হুমকি পেয়ে পুলিশে গেল স্বনির্ভর গোষ্ঠী
গ্রামে মদ্যপদের আচরণে প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদী মহিলাদের প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করা হবে। তাঁদের এমন হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে শুক্রবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন রঘুনাথপুর থানার তুলসিবাড়ি গ্রামের একটি মহিলা স্বনির্ভর দলের সদস্যরা। গ্রাম থেকে দলের ২০-২৫ জন মহিলা মা সারদা মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের অভিযোগ, মূলত সন্ধ্যায় কিছু রাস্তায় মদ্যপদের দৌরাত্মে টেকা দায় হয়ে পড়েছে। বাড়ির ছেলে-মেয়েদের টিউশন পড়তে পাঠানোও সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন আগে তাঁরা রঘুনাথপুর থানায় ও মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে যান। এর পরে পুলিশ ও আবগারি দফতর গ্রামে যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। যদিও ওই অভিযানে চোলাই তৈরির কিছু জিনিষপত্র উদ্ধার হলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। কল্পনা মল্লিক, আন্না বাউরি, মঞ্জু লায়াদের অভিযোগ, এর পর থেকেই নানা ভাবে তাঁদের হুমকির শিকার হতে হচ্ছে। এ নিয়ে অভিযোগ করলে প্রকাশ্যে প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেওয়া মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। রঘুনাথপুরের এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই গ্রাম থেকে মহিলারা কিছু অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে এসেছিলেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”

জল বন্টন নিয়ে ক্ষোভ
সেচের অভাবে প্রায় ১০০ বিঘা জমির তরমুজ নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। মানবাজার থানার ভালুবাসা গ্রামের চাষিদের একাংশ পুকুরের শরিকদের একাংশের বিরুদ্ধে জল না দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি মানবাজার থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বাসিন্দা অনিল রায় মাহাতো, দিলীপ রায় মাহাতো, ভবতারণ রায় মাহাতো বলেন, “ভালুবাসা গ্রামে আমরা ১০০ বিঘার বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কিন্তু পুকুরের শরিকদের একাংশ এখন জমিতে জল নিতে বাধা দিচ্ছেন। অথচ ওই পুকুরের জলে আমাদেরও অধিকার রয়েছে।” অন্যপক্ষ মন্টু রায় মাহাতো, চাঁদসি রায় মাহাতোরা বলেন, “সেচের অজুহাতে পুকুরের সব জল নিয়ে নিলে আমাদের মাছ চাষ মার খাবে।” সম্যসা মেটাতে শনিবার পুলিশের উপস্থিতিতে দু’পক্ষ আলোচনায় বসেন। পুকুরে পাঁচ ফুট জল রেখে বাকি জল সেচের জন্য নেওয়া যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কাজ বন্ধ
সঠিক মানের উপকরণ দিয়ে কাজ হচ্ছে না, এই অভিযোগে বুধবার পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার গোলামারা গ্রামে ছাত্রীনিবাস তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হল। বুধবার সকালে কিছু লোকজন গিয়ে কাজে সঠিক মানের উপকরণ ব্যবহার হচ্ছে না অভিযোগ তুলে নির্মাণকাজ আটকে দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলামারা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছেই এই ছাত্রীনিবাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রধান শিক্ষক উষ্ণীষমণি মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের স্কুলে এই ছাত্রীনিবাস নির্মাণের কাজ চললেও আমরা তা দেখভাল করছি না। এ নিয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ জানায়নি।” জেলা প্রশাসন থেকেই কাজটি সরাসরি দেখভাল করা হচ্ছে বলে জানান বিডিও অনাদি মাহাতো।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.