|
|
|
|
স্কুলের জটে মিড-ডে মিল বন্ধ বরাবাজারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বরাবাজার |
স্কুলের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় চার মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ মিড-ডে মিল। আর তার মাসুল দিচ্ছে পড়ুয়ারা। মিড-ডে মিল নিয়ে এই অচলাবস্থা চলছে পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের একটি হাইস্কুলে।
বরাবাজার থানার বান্দোয়ান-বানজোড়া হাইস্কুলের এই ঘটনার কথা স্থানীয় প্রশাসন থেকে পৌঁছেছে জেলা শিক্ষা দফতরের কমকর্তাদের কানেও। কিন্তু জট কাটেনি। সব জেনেও প্রশাসন কেন মিড-ডে মিল চালু করায় উদ্যোগী হচ্ছে না, এখন সেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরা। ওই স্কুলের প্রায় কয়েকশো পড়ুয়া স্কুলে দুপুরের খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে এই স্কুলে নিয়মিত মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে না। স্কুলের পরিচালন সমিতির কর্মকর্তারা এ জন্য প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনাদিনাথ পাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। কয়েক মাস আগে পরিচালন সমিতি তাঁকে সরিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন বিশ্বনাথ মাহাতোকে। বিশ্বনাথবাবুর অভিযোগ, “অনাদিবাবু আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। ছাত্র, শিক্ষক হাজিরা খাতা থেকে নানা তথ্য তালা বন্ধ আলমারিতে রেখে গিয়েছেন। আলমারির চাবিও দেননি আমাদের। মিড-ডে মিলের হিসেবও দেননি। ফলে নতুন করে মিড-ডে মিল শুরু করতে কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েছে। তা কাটিয়ে ফের মিড-ডে মিল চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।” স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি গম্ভীর সিং সর্দারের অভিযোগ, “অনাদিবাবু অনিয়মিতভাবে মিড-ডে মিল চালাতেন। দুর্গাপুজোর পর থেকে তাও একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” অনাদিবাবুর পাল্টা দাবি, “অভিভাবকদের একাংশের সঙ্গে চক্রান্ত করে স্কুল পরিচালন সমিতি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।”
স্কুলের পড়ুয়াদের একাংশ দরিদ্র পরিবারের। তাঁদের কাছে স্কুলে দুপুরের খাবারের গুরুত্ব অনেকখানি। তা ছাড়া সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে কোনও স্কুল মিড-ডে মিল বন্ধ রাখতে পারে না। তা হলে এই স্কুলে মাসের পর মাস মিড-ডে মিল কী ভাবে বন্ধ? প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরা। স্থানীয় বাসিন্দা তথা অভিভাবক কালাচাঁদ মাহাতো, অজিত মাহাতোদের বক্তব্য, “স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের মিড-ডে মিল চালু করার ব্যাপারে আরও উদ্যোগী হওয়া দরকার।” বরাবাজারের বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, “ওই স্কুলে কিছু সমস্যা রয়েছে বলে শুনেছি। মিড-ডে মিলের হিসেব মেলেনি। তবে যে ভাবেই হোক মিড-ডে মিল চালু করার চেষ্টা চলছে।” অ্যাসিড ভর্তি ট্যাঙ্কার লিক। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ভর্তি ট্যাঙ্কার লিক হয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায় মানুষের মধ্যে। দুর্গাপুর থেকে মালদহগামী ট্যাঙ্কারটি পানাগড়-মোরগ্রাম রাজ্য সড়কে, বর্ধমানের কাকঁসা বসুধার কাছে অজয় সেতু সংলগ্ন এলাকায় লিক হয়ে যায়। অ্যাসিড থেকে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বসুধা, এগারো মাইল গ্রামের অনেকে আতঙ্কে অন্যত্র পালিয়েও যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
|
|
|
|
|
|