• বাঁকুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে।
• ডিগ্রি কলেজ হবে বারিকুল থানার কড়াপাড়া গ্রামে।
• ১৫টি ৫০ শয্যার ছাত্রীআবাস হবে।
• সরকারের কাজ প্রচারের জন্য স্থানীয় লোকশিল্পীদের নেওয়া হবে।
• রানিবাঁধ হাইস্কুল ও গালর্স স্কুলের জন্য ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
• বিষ্ণুপুর, ছাতনা, ওন্দা ও বড়জোড়া ব্লকে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল হবে।
• আট ব্লকে কিষান বাজার হবে।
• ২৫ লক্ষ টাকা জেলার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে দেওয়া হয়েছে। ৭৫ লক্ষ টাকা বাকুঁড়া ও বিষ্ণুপুর হাসপাতাল পাবে।
• খাতড়াতে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও ব্লাডব্যাঙ্ক হবে।
• মুকুটমণিপুরের কংসাবতী নদী, দ্বারকেশ্বর, শিলাবতী নদী থেকে জল নিয়ে ১১০০ কোটি টাকার জল প্রকল্পের কাজ চলছে। এর থেকে ১৪টি ব্লকের ২০৫২ টি মৌজার ১৮ লক্ষ মানুষ জল পাবেন।
• বাঁকুড়া, শুশুনিয়া, শালতোড়ায় সার্কিট ট্যুরিজম হবে। জেলায় হোম ট্যুরিজমও হবে।
• কেন্দুপাতার দাম ৪৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা হয়েছে।
|
গলায় প্লাস্টিকের মালা। পরনে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি। মাথায় আমপাতা ডোবানো জলভর্তি ঘটি নিয়ে শোভাযাত্রা করে সভায় এসেছিলেন জঙ্গলমহলের বেশ কিছু আদিবাসী মহিলা। সভা তখন মাঝ পথে। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী। রোদের তেজে ওই মহিলাদের অনেকেরই গলা শুকিয়ে কাঠ। এক বধূ আমপাতা তুলে নিয়ে ঘটির জল গলায় ঢাললেন। সঙ্গীদের বললেন, “এই সামান্য জলে কি তেষ্টা মেটে? ঘটির বদলে কলসীতে জল আনলে কাজ দিত।”
|
মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে কার জায়গা হয়রেষারেষি চলছিল দলের বড়, মেজো থেকে ন’নেতার মধ্যে। কেউ কেউ জায়গা পেলেন, কেউ পেলেন না। বাড়ি ফেরার পথে এক আদিবাসী নেতার আক্ষেপ, “দিদি অনেক বছর পরে রানিবাঁধে এলেন। তবু শহরের নেতাদের ঠেলায় মঞ্চে উঠতেই পারলাম না।” নিজেকেই তাঁর সাত্ত্বনা, “তবে দিদি জানেন, দলের জন্য আমরা কত খেটেছি।”
|
সকাল থেকেই চাপটা ছিল। ঠিকমতো লোক হবে তো? জেলা নেতারা ফোন করছিলেন ব্লক নেতাদের, তাঁরা ফোন করছিলেন অঞ্চল নেতাদের। দুপুরে মাঠে লোক ঢুকতে দেখেই তাঁদের ধড়ে যেন প্রাণ ফিরল। মুখ্যমন্ত্রী সভা ছাড়তেই এক নেতা অন্য এক নেতাকে বললেন, “লোক কেমন এনেছি বল?” সেই নেতার পাল্টা জবাব, “তুমি আর কী করলে। মাঠ ভরিয়েছে তো আমার লোকেরাই।”
|
মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। কী বলেন, কী করেন ভেবে ভেবে ক’দিন ধরেই তটস্থ হয়েছিলেন বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী রাউতোড়ার সভা ছাড়তেই তাই হাঁফ ছাড়লেন তাঁরা। মঞ্চের পিছনেই কাপড় ঘিরে তৈরি করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্রামঘর। চেয়ার টেনে নিয়ে সেখানেই বসে পড়লেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। টিফিন খেতে খেতে মেতে উঠলেন খোসগল্পে। এক কর্তার কথায়, “খুব টেনশনে ছিলাম। যাক সব ভালয় ভালয় কাটল।” |