এলাকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ তিন নাবালককে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাগদার পুরদহ এলাকার বাসিন্দা ওই তিন জনকে ধরা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় জানা গিয়েছে, ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীই ঘটনার মূল পাণ্ডা। বাকি দু’জনের এক জন পঞ্চম, অন্য জন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “বালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ধৃতদের আত্মীয়দের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে তাদের ফাঁসানো হয়েছে। বুধবার ধৃতদের বিধাননগর জুভেনাইল আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের আড়িয়াদহের একটি হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩ এপ্রিল ফের অভিযুক্তদের ওই আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ ও ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কুড়ি আগে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রটি মেয়েটিকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটির বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে বাকি দু’জন থাকলেও বাড়ির কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগে তিন জনে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এর পরে ভয়ে ঘটনার কথা ছাত্রীটি বাড়িতে কিছু বলেনি। সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সে ঘটনার কথা মাকে জানায়। সে দিনই তার মা পুলিশের কাছে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বাগদা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ছাত্রীটির শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। বুধবার সকালে মেয়েটির বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, দরজায় তালা লাগানো। প্রতিবেশীরা এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। |