পরীক্ষায় নকল করায় বাধা পেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালাল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে বসিরহাটের এইচএমডি গালর্স হাইস্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষা দফতর ও পুলিশকে সব জানিয়েছেন।
বসিরহাট থানার আইসি শুভাশিস বণিক বলেন, “স্কুলে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কারা ভাঙচুর করল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের এইচ এম ডি গালর্স হাইস্কুলে স্থানীয় সাতটি স্কুলের মোট ৫১২ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে।
এ দিন ছিল দর্শন ও অঙ্কের পরীক্ষা। প্রহরায় থাকা শিক্ষিকাদের অভিযোগ, নকল করার জন্য দর্শনের পরীক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষিকাদের ঘরের বাইরে বেরোতে অনুরোধ করে। কিন্তু তাতে রাজি হননি তাঁরা। |
এরপর পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই স্কুলে ভাঙচুর শুরু করেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ।
পরীক্ষার জন্য স্কুলে পুলিশ থাকলেও তারা ছিল নীচের তলায়। ভাঙচুর হয় দোতলায়। উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের বক্তব্য, তারা ভাঙচুরের খবর জানতে পারেননি। এইচ এম ডি গার্লস হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা রাধারানি বিশ্বাস বলেন, “স্কুলের দোতলার ১০,১১,১২ ও ১৩ নম্বর ঘরে ভাঙচুর চালালো হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই আচরণ প্রত্যাশিত নয়। বিষয়টি পুলিশ ও শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে।” স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫-২০টি টিউবলাইট, চেয়ার ও টেবিল ভাঙা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের যদি শাস্তি দেওয়া না হয়, তাহলে ওই স্কুলের পক্ষ থেকে ভাঙচুরে অভিযুক্ত ছাত্রীদের স্কুলের আসন তাদের স্কুলে না ফেলার অনুরোধ করা হবে শিক্ষা দফতরকে। |