স্বামীর প্রেমিকাকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হল এক বধূ-সহ ৬ জনকে। খুনের আগে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মিনাখাঁর দেবীতলা গ্রামের সর্দারপাড়া এলাকায় একটি
|
নিহত গৃহবধূ। |
ঘরের মধ্যে শ্যামাদাসী সর্দার নামে এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয়, ওই মহিলাকে ধর্ষণের পর খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মারুফ গাজি ও হারুফ গাজি নামে দুই ভাইকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের জেরা করে পুলিশ আটক করে তাদের বোন ফেরদৌসি বিবিকে। পুলিশের জেরায় ফেরদৌসি জানায়, তার স্বামী সিরাজুল মোল্লার সঙ্গে শ্যামাদাসীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলাকে বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেয় সিরাজুল। সেই আক্রোশেই মারুফ ও হারুফকে তাদের দিদি শ্যামাদাসীকে খুনের দায়িত্ব দেয়।
উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “শ্যামাদাসীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসনাবাদের কোনানগর থেকে ফেরদৌসি বিবি, মিনাখাঁর নেরলি পাড়া থেকে হারুফ গাজি ও মারুফ গাজি, সন্দেশখালির ভাঙাতুষখালি থেকে আলিসুর মোল্লা, মিনাখাঁর খরিবেড়িয়া গ্রাম থেকে সাদ্দাম সাহাজি ও রফিকুল মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও এক জনের খোঁজ চলছে।” |
পুলিশ জানিয়েছে, ‘জরুরি কথা’ আছে বলে মারুফ ও হারুফ ঘটনার দিন শ্যামাদাসীকে মোটরবাইকে করে নিয়ে যায় হাড়োয়ার মেলায়। সেখানে অপেক্ষা করছিল আলিসুর, সাদ্দাম ও রফিকুল। সেখান থেকে তারা যায় মিনাখাঁর দেবীতলা গ্রামের একটি ঘরে। সেখানেই শ্যামাদাসীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়।
পুলিশের দাবি, ফেরদৌসি ও তার দুই ভাই জেরায় নিজেদের অপরাধ কবুল করেছে। বুধবার আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে ফেরদৌসি বলে, “আমার স্বামী শ্যামাদাসীকে বিয়ে করতে চাইছিল। তাই নিজের সংসার বাঁচাতে ওকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ভাইদের বলেছিলাম।” ধৃতদের বুধবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ফেরদৌসিকে চোদ্দ দিনের জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বাকিদের ৭ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। |