টুকরো খবর
ফের জেল হাজতে প্রাক্তন উপপুরপ্রধান
পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের জেল হেফাজত হল মেদিনীপুরের প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সুভাষময় ঘোষের। আগামী ২৬ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে স্ট্যাম্প ও কিছু কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। অবৈধ ভাবে জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য পুরসভার স্ট্যাম্প এবং রসিদ জাল করার অভিযোগ ওঠে মেদিনীপুরে। দেখা যায়, জলের সংযোগের জন্য বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অর্থ দিলেও তা পুরসভার কোষাগারে জমা পড়েনি। ওই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এমন অভিযোগ এসেছিল ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। শেষমেশ এ ঘটনা নিয়ে মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুভাষময় ঘোষ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর কৃষ্ণা ঘোষ (সুভাষময়বাবুর স্ত্রী)-সহ ৪ জনের নামে মামলা রুজু করে পুলিশ। তার পর সুভাষময়বাবুরা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। পরিস্থিতি দেখে ১২ মার্চ মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান এবং তাঁর স্ত্রী তথা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁদের জেল হেফাজত হয়। এরই মধ্যে সুভাষময়বাবুকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে সোমবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে আবেদন করে পুলিশ। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে বুধবার সুভাষময়বাবুকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়।

বৈষম্যে আটকে নয়াচরে প্রকল্প, অভিযোগ পার্থর
কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক মনোভাবের জন্যই নয়াচরে একাধিক প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে বলে দাবি করলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নয়াচর নিয়ে প্রশ্ন করেন বুধবার। তারই জবাবে ওই অভিযোগ আনেন শিল্পমন্ত্রী। পার্থবাবু জানান, ক্ষমতায় আসার আগেই তাঁদের দল নয়াচরে পেট্রো-রসায়ন শিল্পতালুক না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। সরকারে এসে তৃণমূল সরকার সেখানে বিদ্যুৎ প্রকল্প, পরিবেশ-বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র ও একটি মৎস্য প্রকল্প গড়তে উদ্যোগী হয়। কিন্তু কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে এর কোনওটিই শুরু করা যায়নি। শিল্পমন্ত্রীর কথায়, “অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় নয়াচরের পরিবেশ-সূচক ভাল। তবু কেন্দ্র ছাড়পত্র দিচ্ছে না।” রাজ্যের বিরোধী শিবির তথা বামেরাও নয়াচরের বিষয়টি নিয়ে মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন বলে এ দিন অভিযোগ করেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, “বামেরা হলদিয়া নিয়ে গলা ফাটালেও নয়াচর নিয়ে কিছু বলছেন না। এর আগে বাম সরকারও কেন্দ্রকে বুঝিয়ে নয়াচরের পরিবেশ-জট খোলার চেষ্টা করেননি।” এর জবাবে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “রাজ্যের স্বার্থে নয়াচর নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে প্রয়োজনে আমরা একসঙ্গে দিল্লি যেতে প্রস্তুত।”

বধূর ঝুলন্ত দেহ, ধৃত স্বামী
মারধরের পর শ্বাসরোধ করে এক বধূকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকালে ঘাটাল থানার বাড়নাবনি গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম রীতা রায় (৩৬)। পুলিশ মৃতার স্বামী পলাশ রায়কে গ্রেফতার করেছে। শ্বশুর বলরামবাবু এবং শাশুড়ি জ্যোস্নাদেবী পলাতক। ধৃতকে বুধবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। বছর কুড়ি আগে ঘাটাল থানারই রায়াতপুর গ্রামের ক্ষুদিরাম দাসের মেয়ে রীতার সঙ্গে বাড়নাবনি গ্রামের পেশায় ঢাকি পলাশ রায়ের বিয়ে হয়। দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বধূর বাবা ক্ষুদিরাম দাসের অভিযোগ, “সম্প্রতি এলাকারই এক মহিলার সঙ্গে জামাইয়ের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়ে প্রতিবাদ করায় গণ্ডগোল শুরু হয়।” গত সোমবার বাড়িতে এই নিয়ে ঝগড়াঝাটি হলে পাড়াপড়শিরা বিষয়টি জেনে যান। ক্ষুদিরামবাবুর অভিযোগ, “মঙ্গলবার দুপুরে মেয়েকে গলা টিপে খুন করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় ওরা।”

স্কুলের পথে শ্লীলতাহানি
সাতসকালে স্কুলে যাওয়ার পথে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেফতার হলেন দুই যুবক। মঙ্গলবার রাতে মহিষাদলের লখ্যা উত্তরপাড়া থেকে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃত বছর বত্রিশের সঞ্জয় (চন্দন) মাইতি ও নিতাই সাঁতরাকে হলদিয়া এসিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানালে বিচারক দেবকুমার সুকুল তা মঞ্জুর করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার লখ্যা হাইস্কুলে যাওয়ার পথে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর পথ আটকান চন্দন ও নিতাই। এর পর দুই যুবক তার হাত ধরে টানাটানি করেন ও আশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে সমস্ত কথা পরিবারের লোকদের জানায় ওই ছাত্রী। সন্ধ্যায় মহিষাদল থানায় সঞ্জয় ও নিতাইয়ের নাম করেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। ছাত্রীর মা-র অভিযোগ, “সঞ্জয় বহু দিন ধরেই মেয়েকে কু-প্রস্তাব দিত। মেয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করাতেই হাত ধরে টানাটানি করে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি কর্মশালা
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালা
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ‘ন্যাশানাল মিশন অফ এডুকেশন থ্রু ইনফরমেশন কমিউনিকেশনস টেকনোলজি’ কার্যক্রমের প্রয়োগ ও উপযোগিতা নিয়ে দু’দিন ব্যাপী কর্মশালার সূচনা হল মঙ্গলবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাধাকৃষ্ণণ হলে এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন নিবন্ধক রণজিৎ ধর, খড়গপুর আইআইটির সেন্টার ফর এডুকেশন টেকনলজির বিভাগীয় প্রধান শ্রীমতি বাণী ভাট্টাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ সমূহের পরিদর্শক বিনয় চন্দ। কম্পিউটার সেন্টারের অধিকর্তা সুনীল মল্লিক জানান, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক তথ্য ও জ্ঞান ভাণ্ডার গড়ে তুলছে। তা দেশের যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারে। ই-লার্নিং, ভার্চুয়াল-লার্নিংয়ের সুযোগ নিতে পারেন ছাত্র-গবেষক-শিক্ষকরা। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের খরচও খুব বেশি নয়। এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, গবেষক, শিক্ষকদের অভ্যস্ত করে তুলতেই এই কর্মশালার আয়োজন। ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষকরা অনলাইন লাইভ ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মশালায় যোগ দেন।

আসন-রফা হল না বামেদের
আসন বণ্টন নিয়ে এখনও ঐকমত্যে পৌঁছতে পারল না পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বামফ্রন্ট। বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক হয়। দেখা যায়, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৯টি আসনে এবং পঞ্চায়েত সমিতির ১১টি আসনে এখনও ঐকমত্য হয়নি। জেলা পরিষদের কিছু আসন নিয়েও শরিকি টানাপোড়েন চলছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার-সহ ফ্রন্ট নেতৃত্ব। কেন এখনও ঐকমত্যে পৌঁছনো গেল না? দীপকবাবুর সংক্ষিপ্ত জবাব, “আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলছে।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে গত ৬ মার্চ বৈঠকে বসেছিল জেলা বামফ্রন্ট। ঠিক হয়, শুরুতে ব্লকস্তরের ফ্রন্ট নেতৃত্ব এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন। জেলায় রিপোর্ট পাঠাবেন। পরে জেলাস্তরে সেই রিপোর্টের পর্যালোচনা করা হবে। ১৩ মার্চ এই নিয়ে জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে এ দিন হয়।

রূপনারায়ণ থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ
রূপনারায়ণের তীর থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে কোলাঘাট থানার দেনান এলাকায় রূপনারায়ণের তীরে সালোয়ার-কামিজ পরা বছর ত্রিশের ওই মহিলার দেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে এগরা থানা এলাকার পৌড়দা গ্রামের এগরা-বেলদা সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গণেশ পাত্র (৪০) বেলদা থানা এলাকার আমরদা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মোটর বাইকে করে এগরা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে মোটর বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। গাড়ির চালক পলাতক।

শ্লীলতাহানির নালিশ
ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এগরা থানা এলাকার জুমকি খগেশ্বর হাইস্কুলে শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। এ দিন সকালে অভিভাবকেরা স্কুলে এসে অভিযোগ করেন, সপ্তাহ খানেক আগে স্কুলেরই এক পার্শ্বশিক্ষক ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। সন্ধ্যায় পুলিশ স্কুলে এসে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

জেট স্কি-র ধাক্কা, জখম মা-মেয়ে
দিঘার সৈকতে বেসামাল জেট-স্কি এসে ধাক্কা মারল এক মহিলা পর্যটক ও তাঁর মেয়েকে। বুধবার এই ঘটনার পর দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ ওই জেট-স্কি আটক করে এবং চালক মুস্তাক খানকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, জেট স্কি চালানোর লাইসেন্সই ছিল না চালকের। কলকাতার বেহালার বাসিন্দা প্রসাদ ভট্টাচার্য স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে দিঘায় এসেছিলেন এ দিনই। দুপুরে সৈকতে হাঁটুজলে নেমে ঢেউয়ের সাথে খেলা করছিল তাঁর চার বছরের মেয়ে স্নাতা। পাশে ছিলেন স্ত্রী শ্বেতাদেবীও। আচমকাই একটি জেট স্কি সেখানে এসে ধাক্কা মারে মা-মেয়েকে। স্নাতার মুখে ও শ্বেতাদেবীর কোমরে গুরুতর আঘাত লাগে। সঙ্গে-সঙ্গে দু’জনকে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্নাতার কপালে ও চোখে সেলাই করেন চিকিৎসকেরা। তারপরও সে বারবার বমি করায় প্রসাদবাবু কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। যাওয়ার আগে প্রসাদবাবু দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.