|
|
|
|
ভোটের আসন রফা হল না ফ্রন্টের বৈঠকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আসন বণ্টন নিয়ে এখনও ঐকমত্যে পৌঁছতে পারল না বামফ্রন্ট। বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক হয়। দেখা যায়, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৯টি আসনে এবং পঞ্চায়েত সমিতির ১১টি আসনে এখনও ঐক্যমত হয়নি। জেলা পরিষদের কিছু আসন নিয়েও শরিকি টানাপোড়েন চলছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার-সহ ফ্রন্ট নেতৃত্ব। কেন এখনও ঐকমত্যে পৌঁছনো গেল না? দীপকবাবুর সংক্ষিপ্ত জবাব, “আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলছে।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর দেরি নেই। এখন শুধু নির্ঘণ্ট ঘোষণার অপেক্ষা। আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে গত ৬ মার্চ বৈঠকে বসেছিল জেলা বামফ্রন্ট। সেখানে ফ্রন্টের ঐক্যের উপরই জোর দেওয়া হয়। দীপকবাবু জানান, ফ্রন্টের ঐক্য রক্ষা করতেই হবে। ঠিক হয়, শুরুতে ব্লকস্তরের ফ্রন্ট নেতৃত্ব এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন। জেলায় রিপোর্ট পাঠাবেন। পরে জেলাস্তরে সেই রিপোর্টের পর্যালোচনা করা হবে। নেতৃত্বের বক্তব্য ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচন তো আর মেদিনীপুর থেকে হবে না। গ্রামে হবে। তাই আগে ব্লকস্তরের বৈঠক হবে। সেই সঙ্গে এ-ও ঠিক হয়, পঞ্চায়েতের আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে ১৩ মার্চ ফের বৈঠক হবে। তবে ব্লকস্তরে আসন বণ্টন নিয়ে ঐক্যমত না হওয়ায় ওই দিন আর জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক হয়নি। তা পিছোয়। পরে ঠিক হয়, বুধবার বৈঠকটি হবে। তবে এই সময়ের মধ্যেও সমঝোতা হয়নি। জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকে আসন বণ্টন নিয়ে শরিক দলগুলোর মধ্যে দর কষাকষি চলছে। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব যে ক’টি আসন দিতে ইচ্ছুক, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব তার থেকে বেশি আসন দাবি করছেন। ফলে, আলোচনা সে ভাবে এগোচ্ছে না। বৈঠক শেষে জেলা বামফ্রন্টের এক নেতার বক্তব্য, “সামান্য আসন নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে। মিটে যাবে।” বৈঠকে ঠিক হয়, যে সব আসন নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে, আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে ব্লক এবং জেলা নেতৃত্ব আলোচনা করে তা নিয়ে আলোচনা শেষ করবেন। এরপর ফের জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক হবে। |
|
|
|
|
|