মোহালিতে মিচেল স্টার্কের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, ওর মতো মেরুদণ্ডের জোর যদি ওর দলের টপ অর্ডার দেখাতে পারত, তা হলে ভারতের ৪-০ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যেত।
মোহালিতে ভারতের জয়ের বড় কারণ নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলীয়দের অদ্ভূত আত্মসমর্পণ। ভারতের কৃতিত্বকে আমি খাটো করছি না। তবে স্টার্কের ইনিংস থেকে অস্ট্রেলীয়া ব্যাটসম্যানরা যদি অল্পস্বল্প শিক্ষাও নেয়, তা হলেও দিল্লি টেস্টে লড়াই হতে পারে। কিন্তু সেটা ওরা পারবে? মনে হয় ৪-০ হচ্ছেই।
মোহালিতে চার দিনই ম্যাচের রাশ ছিল ভারতের হাতে। তবে শেষ দিন যে রকম চাপে পড়ে যায় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা, তাতে অস্ট্রেলিয়ার লড়াকু মানসিকতার ছবি ভেসে উঠল। সিরিজে এই প্রথম। ৩৭ ওভারে ১৩০ রানের টার্গেট নিয়ে নেমে সফল হওয়া এই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কাছে কঠিন নয়। শিখর ধবন ছিল না তো কী, পঞ্চম দিনেও পিচ ব্যাটিংয়ের পক্ষে ভাল ছিল। কিন্তু সিডল ও স্টার্ক সমানে নিখুঁত লাইন-লেংথে বল করে ভারতীয়দের বেঁধে রেখে ওদের চাপ বাড়িয়ে তুলল। ভারত সে দিন কতটা চাপে পড়ে যায়, তা সচিনের রানআউটেই স্পষ্ট।
প্রথম ইনিংসেও বিজয়-ধবনের দুর্দান্ত পার্টনারশিপের পর সিডল-স্টার্করা যে ভাবে বল করল, তাতে ওদের চেনা লড়াকু মেজাজটা ছিল। সিডল নিজেকে উজাড় করে দিল, আর স্টার্ক দ্বিতীয় নতুন বলকে দারুণ ভাবে কাজে লাগাল। মোহালির উইকেটে, যেখানে পেসারদের জন্য কিছু ছিল না, সেখানে এই বোলিংয়ের কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
একই রকম প্রশংসনীয় ভুবনেশ্বরের বোলিং। যে বলটায় ও স্টিভ স্মিথকে ফেরাল, আমার মতে সেটাই ম্যাচের সেরা বল। ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এই ছেলেটা। বিশেষ করে বিদেশে ও সফল হবেই।
দিল্লিতেও আশা করি এ রকমই হবে। তবে অস্ট্রেলিয়া লড়াইয়ে ফেরার যে ইঙ্গিত মোহালিতে দিল, সেটা ইতিবাচক হলে ভারতকেও লড়তে হবে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্টে যা হওয়া উচিত। অন্তত একটা টেস্টে সেটা হোক।
|