শীর্ষ কর্তাদের হস্তক্ষেপ? না কি আই লিগে অবনমন বাঁচানোর লক্ষ্যে কোচ-ফুটবলারের বোধোদয়!
সে যাই হোক, আইএফএ শিল্ড সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারের পর বাগানে করিম-টোলগে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরিবেশ আপাতত উধাও। বরং ফের কাছাকাছি সবুজ-মেরুনের মরক্কান কোচ এবং অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার। এ দিন অনুশীলনের পর আলাদা আলাদা করে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রবিবার ডার্বি ম্যাচের পর সবুজ-মেরুন শিবিরে যুযুধান দুই ব্যক্তিত্ব। যাবতীয় বিতর্ক দূরে সরিয়ে টোলগে বললেন, “যা হয়েছে তা অতীত। করিম এবং আমি দু’জনেই ম্যাচ জেতার জন্য আগ্রাসী মেজাজে ছিলাম। সেখান থেকেই ওই অবাঞ্ছিত ঘটনা। সব ভুলে গিয়েছি।” টোলগের এই বক্তব্যের আগেই করিম বলে গিয়েছেন, “অবনমন বাঁচানোই প্রধান চ্যালেঞ্জ। ওই ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। রবিবার আই লিগে পৈলান ম্যাচ। এখন সব ম্যাচ জেতাটাই চ্যালেঞ্জ।” |
আই লিগে অবনমন বাঁচানোর লড়াইতে দলের তাল যাতে না কাটে সে ব্যাপারে আগাগোড়াই সচেষ্ট ছিলেন কর্তারা। তাঁদের মধ্যস্থতাতেই মঙ্গলবার রাতে কথা হয় করিম এবং টোলগের। সেই আলোচনাতেই বরফ গলেছে। অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বলছেন, “সব সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।”
রবিবারের ডার্বি ম্যাচে হারের পর ফুটবলারদের ক্লান্তি, হতাশা মুক্ত করতে অনুশীলনে দু’দিন ছুটি দিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফা। বুধবারই ফের অনুশীলনে নামলেন নবি-জুয়েলরা। তাঁদের সঙ্গেই এ দিন পাল্লা দিয়ে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে টোলগেকে।
আইএফএ শিল্ডের ব্যর্থতা ভুলে আই লিগে অবনমন বাঁচানোর জন্য ঝাঁপাতে মরিয়া গোটা দল। রবিবারই কল্যাণীতে করিমের দলের প্রতিপক্ষ পৈলান অ্যারোজ। ‘ভাইরাল ফিভার’-এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ওডাফা। তাই এ দিন অনুশীলনে আসেননি। ক্লাব সূত্রে খবর, সুস্থ আছেন বাগানের ‘ম্যান ফ্রাইডে’। বৃহস্পতিবারের মধ্যে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে খবর। |