শিশুভারতী বিদ্যামন্দির স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির তীর্থ পুরকায়স্থ বইয়ে ঈগলের ছবি দেখেছে। বুধবার তা দেখে আনন্দে হাততালি দিল সে। রায়গঞ্জে পার্বতী স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অর্পিতা মজুমদার টিভি-বইয়ে পেঁচা কাঠঠোকরা পাখির ছবি দেখেছে। এ দিন ওই সমস্ত পাখি ডালে দেখে শিক্ষিকাকে জড়িয়ে ধরে। শুধু তীর্থ, অর্পিতা নয়। রায়গঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের দ্বিতীয় থেকে একাদশ শ্রেণির একশো পড়ুয়া নিয়ে বুধবার এ ভাবে দিনভর কুলিক পক্ষিনিবাস চত্বরে চলল পাখি পর্যবেক্ষণ ও সচেতনতা শিবির। |
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন স্টাডি অফ নেচার অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমি ফর পিপল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ওই শিবিরে পড়ুয়া ছাড়াও অভিভাবকদের একাংশ ও শহরের নানা প্রাথমিক ও হাইস্কুলের ৪০ শিক্ষকশিক্ষিকা সামিল হন। পাঁচ প্রশিক্ষক প্রথমে দূরবিনের সাহায্যে পড়ুয়াদের পাখি দেখানোর ব্যবস্থা করে। পরে পাখিদের সম্পর্কে জানান। সোসাইটি সভাপতি অভিজিৎ সরকার বলেন, “যে ভাবে দূষণ বাড়ছে ও জঙ্গল কমছে তাতে পাখির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে বসেছে। শিবির আয়োজন করে পড়ুয়াদের পাখি সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
সোসাইটির সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় জানান, পরিবেশের ভারসাম্য ও খাদ্য শৃঙ্খল রক্ষায় পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। |
পড়ুয়াদের সেটাই বোঝানো হয়েছে। এ দিন আবদুলঘাটা এলাকার পক্ষিনিবাস চত্বরে পড়ুয়ারা দূরবিনে গাছের উপরে বসে থাকা ঈগল, শকুন, বেনেবউ, হাঁড়িচাঁচা, ফিঙে, মাছরাঙ্গা, জলপিপি, কাঠঠোকরা, ফ্লাই ক্যাচার, ঘুঘু, চড়ুই, ছাতারে, কোকিল, পেঁচা ও শালিক সহ বিভিন্ন পাখি দেখে। শুধু পাখি দেখা নয়। আকৃতি ও রঙ দেখে কেমন করে পাখিদের চেনা সম্ভব, কিংবা কোন পাখির কি খাবার সেটাও নোট বইয়ে টুকে নেয় ওরা। শিবিরে বিভিন্ন পাখি দেখার পর রায়গঞ্জের সারদা শিশুতীর্থ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরদীপ্ত দাস বলে, “অনেক পাখি দেখলাম। অনেক কিছু শিখলামও।”
|
বুধবার রায়গঞ্জের আব্দুলঘাটা বনাঞ্চলে তোলা নিজস্ব চিত্র। |