পাউরুটি কাটার ছুরি দিয়ে নিজের গলা ও হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি। কাজ না হওয়ায় শেষে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বালি ব্রিজ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ। কিন্তু টহলদারি বালি থানার পুলিশ ও সাধারণ মানুষের তৎপরতায় তাঁকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে বালি ব্রিজে এই ঘটনাটি ঘটে। আহত ওই ব্যক্তির নাম প্রদীপ জয়সওয়াল।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে বারোটা নাগাদ বালি ব্রিজের উপরে দরজা খোলা অবস্থায় একটি গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে সন্দেহ হয় টহলদারি পুলিশ কর্মীদের। তাঁরা দেখেন, চালকের পাশের আসনে একটি রক্তমাখা ছুরি, ইলেকট্রিকের তার পড়ে রয়েছে। সেই সময় ব্রিজের নীচ থেকে শোরগোল কানে গেলে পুলিশ দেখে গঙ্গায় হাবুডুবু খাওয়া এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে তুলে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইতিমধ্যে ব্রিজের উপরের পরিত্যক্ত গাড়িটি থেকে পুলিশ একটি মোবাইল খুঁজে পায়। সেই মোবাইলে সেভ করা ‘হোম’ নম্বরে ফোন করলে এক মহিলা বলেন, “বাবা তুমি কোথায়?।” তেখনই জানা যায়, ওই ব্যক্তি রিষড়ার বাগখালের বাসিন্দা প্রদীপ জয়সওয়াল। ওই মহিলা প্রদীপবাবুর মেয়ে। তিনি পুলিশকে জানান, প্রদীপবাবু কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন।
তল্লাশির সময় গাড়ি থেকে একটি খাতা উদ্ধার করা হয়। তাতে লেখা ছিল, মৃত্যুর পরে তাঁর সম্পত্তি যেন তাঁর স্ত্রীকে দেওয়া হয়। ওই খাতায় ব্যবসায়িক গোলমালের কথাও উল্লেখ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানতে পারে, প্রদীপবাবু গাড়ি কেনা-বেচার ব্যবসা করেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁর এক আত্মীয় লছু সিংহের সঙ্গে পনেরো লক্ষ টাকায় একটি হোটেল কেনা সংক্রান্ত আলোচনা হয়। তা নিয়ে গোলমাল হয়। এর পরেই একটি গাড়ি নিয়ে তিনি বেরিয়ে যান।
আহত প্রদীপবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় একটি পাউরুটি কাটার ছুরি, ইলেকট্রিকের তার নিয়েছিলেন। হাওড়া কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) নিশাদ পারভেজ বলেন, “রাতে টহলদারি পুলিশ ছিল। যে কারণেই ওই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।” |