|
|
|
|
এক অ-নাগার চেষ্টায় প্রথম নাগা অভিধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
তিন দশকের উদায়স্ত পরিশ্রমের পর নাগা ভাষার প্রথম অভিধান বের করতে চলেছেন অসমিয়া ভাষাবিদ ভীমকান্ত বরুয়া।
ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমীয় বিভাগের অধ্যাপক ভীমকান্ত বাবুর লেখা নাগা অভিধানে কেবল ইংরাজি ও অসমিয়া ভাষায় নাগা শব্দের অর্থই লিপিবদ্ধ থাকছে না, শব্দগুলির ব্যকরণ, বুৎপত্তি ও উচ্চারণও উল্লেখ করা হবে।
বরুয়া জানান, তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল নাগা ক্রেওলে ভাষা। ছাত্রাবস্থা থেকেই নাগাদের বিভিন্ন উপজাতির ভাষা নিয়ে তাঁর আগ্রহ বাড়ে। অসমীয় বিভাগের ছাত্র ও পরবর্তীকালে শিক্ষক হলেও, তিনি বিভিন্ন নাগা উপজাতি ভাষা শিখতে থাকেন। জানতে থাকেন, ১৬টি প্রধান নাগা উপজাতির ভাষার উৎস, চলন, ক্রম-বিবর্তনের ধারা। শেষ অবধি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থানুকূল্যে চার বছর আগে, সমগ্র সংগ্রহকে অভিধানের আকার দেওয়া শুরু।
নাগা ভাষা প্রধানত অসমিয়া ভাষার ধাঁচে গড়ে উঠলেও এর সঙ্গে ইংরাজি, হিন্দি, বাংলা, নেপালি ভাষা মিশেছে। নাগাদের কোনও সাধারণ লিপি বা লেখ্য হরফও নেই। রোমান হরফই ভরসা। তবে নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে ও অন্য উপজাতির সঙ্গে যোগাযোগের স্বার্থে স্বাধীনতার পরের কয়েক দশকে এক সার্বজনীন নাগা ভাষার বিকাশ ঘটে।
১৯৮৫ সালে নাগাল্যান্ড সরকারের অনুরোধে, ভীমকান্তবাবু প্রথমবার নাগা ব্যাকরণ লেখার কাজে হাত দিয়েছিলেন। বইয়ের নাম ছিল ‘কথালগা নিয়ম’। এরপর ছোটদের জন্য লেখেন ‘বাতসা পথ।’ অসমিয়া ভাষায় লেখেন, ‘নাগামিজ ভাষার উদ্ভব আরু বিকাশ।’ বরুয়া জানান, নাগাল্যান্ডের আনাচে-কানাচে ঘুরে, বিভিন্ন নাগা পণ্ডিতের সঙ্গে কথা বলে মোট ১০ হাজার নাগা শব্দ সংগ্রহ করেছেন তিনি।
চারশো পাতার অভিধানে সেই দশ হাজার শব্দের স্থান হয়েছে। ভীমকান্ত বাবুর আশা, “আগামী তিন মাসের মধ্যে এই অভিধানের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে হয়।” প্রথম প্রকাশের পরে, নাগা ও অসমীয়দের মতামত জানবেন তিনি। করা হবে প্রয়োজনীয় সংশোধন। পরে নাগা-অসমিয়া ভাষার সেতুবন্ধনে আরও বিশদ কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। |
|
|
|
|
|